জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের উত্তর সারমারা গ্রামে অবস্থিত এক বাঁশের উপর দিয়ে নদী পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ। ঝুঁকিপূর্ণ ওই বাঁশের উপর দিয়ে জিঞ্জিরাম নদী পারাপারের সময় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে ছাত্র ছাত্রী সহ অনেক পথচারী।
জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নটি ভৌগলিকভাবে ভারতের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। শত বছর আগে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মহেন্দ্রগঞ্জ থানার কুলঘেঁষে বাংলাদেশে প্রবাহিত হয়ে ওই জিঞ্জিরাম নদীটি বাংলাদেশ ভূখন্ডের ব্রহ্মপুত্র নদের সাথে মিশে গেছে।
এক কালের খরস্রোতা ওই নদীটি নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা নদীতে পরিণত হয়েছে । কমে গেছে নদীর গভীরতা। বছরের ৯ মাস ওই জিঞ্জিরাম নদীতে পানি থাকে। শীত কালের ৩ মাস ওই মরা নদীর তলদেশে চাষাবাদ করা হয়।
এই জিঞ্জিরাম নদী বগারচর ইউনিয়নের ভৌগলিক মানচিত্রকে দ্বি-খণ্ডিত করেছে। ওই নদীর দুই পাশে বগারচর ইউনিয়নের রামরামপুর, পেরিরচর ও উত্তর সারমারাসহ ১০টি গ্রামের প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস। মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ দুই পাড়ের গ্রাম গুলোতে কমপক্ষে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
নদীর এ পাড় ও পাড় দুপাড়েই এলজিইডির কাঁচা সড়ক রয়েছে। ওই সড়কেই পথ মাড়িয়ে প্রতিদিন শতশত শিক্ষার্থী ও পথচারী জিঞ্জিরাম নদী পারাপার হয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং উপজেলা সদরে যাতায়াত করে থাকে। বর্ষাকালসহ বছরের ৯ মাস শিক্ষার্থী সহ সাধারন পথচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নড়বড়ে এ বাঁশের পাটাতন দিয়ে নদী পারাপার হয়ে থাকে। ঝুকিপূর্ন এই বাঁশের পাটাতনের কারণে বিগত কয়েক বছরে অনেক পথচারী ও শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি করে আসছেন স্থানীয়রা। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই গন দাবি আজও পূরণ হয়নি। তাই উত্তর সারমারা গ্রামে জিঞ্জিরাম নদীর উপর এই বাঁশের পাটাতন নির্মাণ করেছে গ্রামবাসী । পার্টিশন হিসেবে দেওয়া হয়েছে মাত্র একটি বাঁশ।
বগারচর ইউনিয়নের স্থানীয় পথযাত্রী বাঁধন মোল্লা জানান, ‘জিঞ্জিরাম নদীর উপর একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রশাসনের কাছে একাধিকবার আবেদন নিবেদন করা হয়েছে। সে প্রেক্ষিতে পরিদর্শন, মাপ পরিমাপ করে প্রাক বাজেটও প্রয়নয় করা হয়েছে কিন্তু বাস্তবে বাস্তবায়ন হয়নি। এখানে একটি পাকা ব্রিজ নির্মাণ হলে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধা হবে।’চলবে যানবাহন। ঘুচবে দুঃখ দূর্দশা এমনটাই জন প্রত্যাশা।
এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অহনা জিন্নাতের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জনকণ্ঠকে জানান আমি সরেজমিনে গিয়ে নিজের চোখে দেখেছি।
এক বাঁশের উপর দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ নদী পারাপার হচ্ছে ১০ গ্রামের মানুষ
শীর্ষ সংবাদ: