ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

গলা কেটে হত্যা, অতঃপর রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে খুনিরা

প্রকাশিত: ১১:০৫, ২২ নভেম্বর ২০২৪

গলা কেটে হত্যা, অতঃপর রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে খুনিরা

সংগৃহীত ছবি।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মুদি দোকানদার রইস উদ্দিনের হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও রইসের লুট হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। শাহজাদপুর থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শাহজাদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত রইস উদ্দিন কাঙলাকান্দা নলুয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং স্থানীয় নলুয়া বাজারে মুদি দোকান পরিচালনা করতেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— একই গ্রামের আজিজ আলী মন্ডলের ছেলে মো. মামুন (২৮) এবং জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে মো. জয়নাল শেখ (৫০)।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রইস উদ্দিন গত ৩ নভেম্বর তার দোকান থেকে বাড়ি ফিরে না আসলে তার আত্মীয়-স্বজনরা তাকে খুঁজতে শুরু করেন। ফোনটি বন্ধ পাওয়ার পর ৮ নভেম্বর রইসের ছেলে দুলাল হোসেন শাহজাদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর, ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাহজাদপুর পৌর এলাকার নলুয়া বাজারের পাশের একটি ডোবায় রইসের মরদেহ পাওয়া যায়।

হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ সম্পর্কে পুলিশ জানায়, মামুন ও জয়নাল দীর্ঘদিন ধরে রইসের দোকানে আড্ডা দিতেন এবং তার টাকা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। ৩ নভেম্বর রাত ১০টা থেকে তারা রইসকে অনুসরণ করতে শুরু করেন। রইস রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি ফিরে গেলে, তাকে ডেকে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়। হত্যার পর, রইসের ঘরের তোষকের নিচে থাকা ১৬ হাজার টাকা নিয়ে যায় মামুন। রক্ত গামলাতে করে টয়লেটে ফেলে দেয়। এরপর, রইসের মরদেহ বস্তায় ভরে ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়।

পুলিশ আরও জানায়, হত্যার পর, মামুন লুট করা টাকার মধ্যে ১০ হাজার টাকা নিজের কাছে রাখে এবং ৬ হাজার টাকা জয়নালকে দেয়। এরপর তারা নিজেদের বাড়িতে ফিরে যায় এবং স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে থাকে।

পুলিশ হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনার তদন্ত করে নিশ্চিত করেছে যে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল এবং দুই আসামি হত্যার উদ্দেশ্যে রইসের ওপর হামলা চালায়।

নুসরাত

×