সাংবাদিকের দৌরাত্ম
বাউফলে আওয়ামী লীগের তেলবাজ সাংবাদিকদের দৌরাত্বে অতিষ্ট পেশাদার সাংবাদিকরা। এসব তেলবাজ সাংবাদিকরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন। তারা তৎকালীন পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে আন্দোলনকারীসহ বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের গ্রেপ্তার ও ঘর ছাড়া করিয়েছেন।
এখনও তারা বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশেষের কাছে গিয়ে নিউজ প্রকাশের ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ করছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেখ হাসিনার সাবেক পিএস ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সচিব আবদুল মালেক, পটুয়াখালীর আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মৃধার জামাতা সেনাবাহিনীর সাবেক মিডিয়া উইং বিগ্রিডিয়ার আবুল হাসনাত ও জেলা আওয়ামী লগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েলের সুপারিশ নিয়ে এসব তেলবাজরা সাংবাদিক হয়েছেন । তারাই এখন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন।
সম্প্রতি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে দৈনিক জনকণ্ঠ, প্রথমআলো, নয়াদিগন্ত ও মানবজমিনপত্রিকাসহ ৪টি ইংরেজি ও ৪টি আঞ্চলিক পত্রিকায় সরকারী বিজ্ঞাপন দেয়ায় এসব তেলবাজ সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হন। তারা দৈনিক জনকণ্ঠ, প্রথম আলো, নয়াদিগন্ত ও মানবজমিনের সাংবাদিকসহ পেশাদার ও জাতীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অপপ্রচার শুরু করেছেন। এসব তেলবাজ সাংবাদিকরা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের ষোল বছরের সরকারী বিজ্ঞাপন হাতিয়ে নিয়েছেন।
বাউফলের পেশাদার জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকরা এসব তেলবাজ ও ধান্দাবাজ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাসহ তাদের আয়ের উৎস ক্ষতিয়ে দেখতে তথ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
শহিদ