হাওড় তীরবর্তী রামপুরা খালের উপর ৫৩ বছরেও সেতু নির্মাণ হয়নি
স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও শুরু হয়নি সীমান্তবর্তী মহেষখলা বাজার ও গুলগাঁও বাজারের মাঝখানে রামসার টাঙ্গুয়ার হাওড় তীরবর্তী রামপুরা খালের ওপর সেতু। ভারতের সীমান্তবর্তী দুই লাখ পথচারীর চলাচলের একমাত্র জনবহুল সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ।
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার একাংশ নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলাধীন ভারতের সীমান্ত ঘেঁষে উত্তর বংশীকু-া ইউনিয়নের মহেষখলা বাজার ও গুলগাঁও বাজারের মাঝখানে রামসার টাঙ্গুয়ার হাওড় তীরবর্তী রামপুরা খালের ওপর সেতুু না থাকায় ওই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পাঁচটি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করলেও রামপুরা নামক স্থানে সেতু না থাকায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে সাধারণ পথচারীকে। ওই কাঠ বাঁশের নড়বড়ে সেতু দিয়ে প্রতিনিয়ত শত শত অটোরিক্সা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলসহ ভারি যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। পার্শ্ববর্তী টেকেরঘাট বাগলী, বড়ছরা কয়লা কোয়ারি থেকে হাজার হাজার টন কয়লা ওই সড়ক পথে চলাচল করছে।
ওই সড়কপথে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, ধর্মপাশা, মধ্যনগর, নেত্রকোনার কলমাকান্দা, বারহাট্টা উপজেলার কয়েক হাজার ব্যবসায়ীর চলাচলের এক মাত্র সড়কটি বেহালদশা। জরুরি ভিত্তিতে মহেষখলা বাজার হতে গুলগাঁও বাজার পর্যন্ত প্রায় চার কিমি. সড়কের মাঝখানে রামপুরা খালের ওপর সেতুটি নির্মাণ প্রয়োজন বলে সচেতনমহলসহ এলাকাবাসীর দাবি।
উত্তর বংশীকু-া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক ও সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ বিল্লাল হোসাইন বলেন, আমাদের আমলে ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ ছিল সীমিত। স্বাধীনতার পর থেকে বহু এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ একাধিক জনপ্রতিনিধিরা আশ্বাস দিয়েছেন যে, তিনি নির্বাচিত হলে মহেষখলা বাজার হতে গুলগাঁও বাজার পর্যন্ত রাস্তা ও রামপুরা সেতুটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে রামপুরা খালটি নৌকা দিয়ে ২০ টাকার বিনিময়ে পারাপার করতে হয়। হেমন্ত মৌসুমে জনস্বার্থে এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে চলাচলের উপযোগী করে।
ওই মাটির সড়কটি বিগত ১২ বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার এলজিইডির অর্থায়নে মহেষখলা বাজার হতে গুলগাঁও বাজার পর্যন্ত প্রায় চার কিমি. পাকা সড়ক নির্মাণ করা হলেও এরপর থেকে এ পর্যন্ত কোনো মেরামত বা সংস্কার না করায় রাস্তাটির অস্তিত্ব নেই।