জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় সড়কের পাশে একটি ধানক্ষেত থেকে আরাফাত হোসেন (১৯) নামের এক তরুনের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। পত্রিকার মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হওয়ায় সিআইডির এলআইসি শাখা মামলাটির ছায়াতদন্ত শুরু করার পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে তদন্তসহ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে একজনকে গ্রেফতার করে।
নিহত আরাফাত হোসেন দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর থানাধীন বাওনা গ্রামের মিনহাজুল ইসলামের সন্তান, পেশায় অটোভ্যান চালক।
মিনহাজুল ইসলাম জানান গত ০৯ নভেম্বর বিকাল অনুমান ৫ ঘটিকার সময় তার ছেলে আরাফাত হোসেন ভাড়ায় ব্যাটারীচালিত অটোভ্যান নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় ছেলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে সে বাড়িতে আসছে বলে জানায়। এরপর গভীর রাত পর্যন্ত ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় পুনরায় মোবাইলে কল দিলে ফোন রিসিভ হলেও কোন কথা হয়নি। ১০ নভেম্বর সকালে পাঁচবিবি থানাধীন মোলান গ্রামে তার ছেলে আরাফাত হোসেনের লাশ সনাক্ত করেন।
পরে নিহতের বাবা মিনহাজুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি থানার মামলা নং- ১২, তারিখ-১০/১১/২০২৪ খ্রি. ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০ রুজু হয়।
পরবর্তীতে সিআইডির দৃষ্টিগোচর হলে অভিযান চালিয়ে হত্যাকান্ডের জড়িত আসামীদের মধ্যে মোঃ সাদা মিয়াকে গ্রেফতার করে। তাকে চট্টগ্রাম জেলার মিরেরশ্বরাই থানা থেকে ২০ নভেম্বর ভোরে আটক করে সিআইডি।
আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হলে আসামী স্বেচ্ছায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলাটি সিআইডি জয়পুরহাট জেলা তদন্ত করছে।
এমএম