রামগঞ্জে সোনাপুর-চিতোষী খালের আকারতমা নামক স্থানে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে ইটভাটার রাস্তা নির্মান করেছেন ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু ও তাঁর ভাই আওয়ামীলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন। বুধবার(২০ নভেম্বর) ৩৩ফুট সরকারি খালের উপর দু’টি রিং পাইপ বসিয়ে তাদের মালিকাধিন আল-মদিনা ইটভাটার রাস্তার জন্য বাঁধ দিয়ে এ রাস্তা নির্মান করেন তাঁরা। এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান ও তাঁর ভাই ২০১৫ সালে তাঁেদর ইটভাটায় আসা যাওয়ার জন্য ক্ষমতার প্রভাবখাটিয়ে খরস্্েরাত এ খালটিতে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মান করেন। চলতি বছরের আগষ্ট মাসে বন্যায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধির জন্য উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাঁধটি কেটে দেওয়া হয়। আকরতমা গ্রামের মনুহর মিয়া(৪৫), খোকন(৫০), নাগমুদ গ্রামের দুলাল মোল্লা(৬০) বলেন, চেয়ারম্যান ও তাঁর ভাই খালে বাঁধ দিয়ে ইটভাটার রাস্তা নির্মান করেন। এতে বর্ষায় জলাবন্ধতায় ও শুকনো মৌসমে পানির অভাবে ৪ গ্রামের ১০ সহস্রাধিক মানুষ দীর্ঘদিন যাবত চাষাবাদসহ নানা সমস্যায় দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। তাদের ভয়ে মানুষ কথা বলার সাহস পায়নি। চলতি বছরে বন্যার সময় উপজেলা ইউএনও,থানা পুলিশসহ এসে বাঁধটি কেটে দেয়। মানুষ খুব খুশি হয়। এখন কার ক্ষমতায়,কিভাবে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মান করছেন, এটা আমরা বলতে পারবো না। বাঁধটি কেটে দেওয়া জরুরি নতুবা ভবিষ্যতে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে, মানুষ আরো বেশী সমস্যায় পড়বে।
ভোলাকোট ইউনিয়র পরিষদের চেয়ারম্যান ও আল মদিনা ইটভাটার মালিক দেলোয়ার হোসেন দিলুর মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর ভাই বিল্লাল হোসেন জানান, বন্যায় বাঁধটি কেটে দেওয়ার পর কালর্ভাট নির্মানের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেছি। অনুমতি পেলে কালর্ভাট নির্মান করবো। বর্তমানে ইটপোড়ানোর সময়, তাই আপাতত দুইটি রিং বসিয়ে গাড়ী চলাচলের রাস্তা করেছি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, বাঁধটি বন্যার সময় সহকারি কমিশনার(ভুমি) উপস্থিত থেকে কেটে দিয়েছে। এখন যদি তারা আবারও বাঁধ দিয়ে থাকেন, তাহলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
রামগঞ্জে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে চেয়ারম্যানের ইটভাটার রাস্তা নির্মাণ
শীর্ষ সংবাদ: