বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলার নোয়াপতং ইউনিয়নের কায়াম্রং পাড়া এলাকায় রাঙ্গামাটির-বিলাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবানের গুরুপূর্ণ সংযোগ সড়কটি ধসে যওয়ার কারণে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। এ সড়কে একপাশে বড় ধরনের মাটি সরে যাওয়ায় যেন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটি জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলা ছাড়াও সদর উপজেলা থেকে বিলাইছড়ি উপজেলায় যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প সড়ক। এ সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সরেজমিনে জানা যায়, রোয়াংছড়ি উপজেলার সড়কটিতে ছোটবড় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের পাশাপাশি নোয়াপতং ইউনিয়ন ও বান্দরবান সদর উপজেলার জামছড়ি'সহ দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা এই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করেন। এছাড়া এসড়কটিতে কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি, বিভিন্ন স্কুল-কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থী'সহ হাজারো পথচারী প্রতিনীয়ত যাতায়াত করেন। এ সড়কের পাশে একটি ঝিরিতে বাঁধ নির্মাণ করে মৎস্য চাষ করায় মাটি নরম হয়ে সড়কটি ভেঙ্গে পড়েছে। ফলে যানবাহন এবং মানুষ চলাচলে ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। ভাঙ্গা সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে পড়ে থাকলেও এলজিইডির পক্ষথেকে সড়কটি সংস্কার না করায় এলাকাবাসীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নোয়াপতং ইউপির ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লঙ্কা ত্রিপুরা জানান, এই সড়কটির পার্বত্য দুই জেলার সঙ্গে সংযোগ সড়ক হওয়ার কারণে দৈনিক কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। প্রায় একমাস ধরে সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারণ চলাচল করছে। তবে বড়কোন দুর্ঘটনার আগেই সড়কটি সংস্কার করার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষথেকে এলজিইডির উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করছি বলে তিনি।
এলজিইডি'র রোয়াংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী দিবাকর রায় বলেন, বান্দরবান বিলাইছড়ি সড়কের পাশে মৎস্য চাষের পুকুর থাকার কারণে সড়কটি ভেঙ্গে গেছে। সড়কের পাশে বাঁধ নির্মাণ এবং পুকুর খনন করার কোন নিয়ম নাই। তবে এই সড়কটি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বান্দরবান জেলার সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ সারোয়ার হোসেন দৈনিক জনকণ্ঠকে বলেন, রাঙ্গামাটির-বিলাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে বান্দরবানের সংযোগ সড়কটি ধসের বিষয়টি জেনেছি। রোয়াংছড়ি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে আলোচনা করে সড়কটি দ্রুত সংস্থারের ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
ছবির ক্যাপশান: বান্দরবান-বিলাইছড়ি সংযোগ সড়ক যেন মরণফাঁদ, কৃষিপণ্যবাহী গাড়ি, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী'সহ হাজারো পথচারী প্রতিনীয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন।