বাউফল উপজেলা বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিরোধের নিষ্পত্তি চান কর্মী ও সমর্থকরা। ত্রিমুখি বিরোধের কারণে সংগঠনিক ভাবে দুর্বল হয়ে পরেছে এ দলটি। আওয়ামী লীগের প্রায় ষোল বছরের শাসনকালে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দলটি তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখলেও ৫ আগস্টের প্রেক্ষাপটের পরিবর্তনের পর পরই গ্রæপিং প্রকাশ্যে চাঙ্গা হয়ে উঠে। বিএনপির সাবেক এমপি সহিদুল আলম তালুকদার, সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনের নেতৃত্বে বর্তমানে আলাদা আলাদা ভাবে দলের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
২০০১ সালে সহিদুল আলম তালুকদার বিএনপি থেকে নমিনেশন পেয়ে আওয়ামী লীগের দুর্গ বলে পরিচিত এ আসনে জয়ী হন। এর আগে ১৯৯৯৬ সালে তিনি নমিনেশন পেয়ে ২৪ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। মূলত তার কারণেই এ আসনে বিএনপির ভিত্ত মজবুত হয়। এরপর নানা কারণে তিনি দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন । তারপরে বিএনপির নেতৃত্বে আসেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও ডেল্টা গ্রæপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফারুক আহমেদ তালুকদার। একাধারে ১৪ বছর তিনি দলের হাল ধরেন। আর একারণে তিনি খোসারতও দিয়েছেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার তাকে একরকম পথে বসিয়ে দেন। তার সকল শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেন।
২০২২ সালে উপজেলা কমিটি ভেঙ্গে দেয়ার পর বিএনপির হাল ধরেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা মিয়া ও অলিয়ার রহমান । শাহজাদা মিয়াকে আহবায়ক ও অলিয়ার রহমানকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হলেও ১৫ দিনের মাথায় বিশেষ কারণে সেই কমিটি থেকে শাহজাদা মিয়া ও অলিয়ার রহমানকে সরিয়ে দিয়ে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুর জব্বার ও যুগ্ম আহবায়ক আপেল মাহমুদ ফিরোজকে সদস্য সচিব করা হয়। এই কমিটি নিয়ন্ত্রন করছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেন। তার বাবা আব্দুর রশিদ চুন্নু মিয়া বর্তমানে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহবায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ এনে পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ন কবিরকে সরিয়ে দেয়া হয়। হুমায়ন কবির ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদের অনুসারি। বিএনপির দুঃসময়ে তার অবদান ছিল । হুমায়ন কবির অভিযোগ করেন, ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমেদকে দুর্বল করতে তাকে ভিত্তিহীন অভিযোগে অন্যায় ভাবে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক মাসুদুর রহমান বলেন, বিএনরি অভ্যন্তরীণ গ্রæপের কারণে তৃর্ণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা বিভক্ত হয়ে পরেছেন। তিনি দলের মধ্যে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে দলের সিনিয়র ভাইসচেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জাফরান