ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন পায়তারার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৪৮, ২১ নভেম্বর ২০২৪

ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলন পায়তারার অভিযোগ

 ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে পায়রা বন্দর নির্মাণে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ টাকা উত্তোলন করতে না পারে তার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন ভুক্তভোগী কৃষক পরিবারের সদস্য বাদশা মিয়া।

বৃহস্পতিবার সকাল দশটায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাদশা মিয়া বলেন, চরবালিয়াতলী মৌজায় এস,এ ৫৮ নং খতিয়ানে হারুন অর রশিদ দুই একর জমির মালিক। তিনি ওই জমি থেকে আগেই এক একর ৭৯ শতক জমি বিক্রি করেছেন। তারপরও হারুন রশিদ ওয়ারিশ বেল্লালসহ চার জনে  এক একর ৮৩ শতক জমির মালিক সেজে সার্ভেয়ার হাবিবুর রহমান, নুরুজামান আসাদ ও জুয়েল রানার কাছে বিক্রি করেন। 
এছাড়া একই খতিয়ানের তিন একর ৩৩ শতক জমির মালিক মালেকা খাতুন। তার মৃত্যুতে ওয়ারিশ হন তার বাবা কালু মিয়া, স্বামী আ. হক মিয়াজি, পুত্র ইউসুফ মিয়াজি, কন্যা শেফালী ওরফে সাহানারা। পুত্র ইউসুফ মায়ের ওয়ারিশ হিসাবে এক একর ২৯ শতাংশ ভূমি প্রাপ্ত হন। তাহার ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া এক একর ৮৩ শতক জমি নজরুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিনের কাছে বিক্রি করেন। ইউসুফ এক একর ২৯ একর জমি পাইলে ও  বিক্রি করেন ১-৮৩ শতাংশ। তিনি ৫৪ শতাংশ জমি বেশি বিক্রি করেন। উক্ত জমি  ক্রেতা নজরুল ইসলাম ও নাসির উদ্দিন ১৪৯ ও ২৮১ নং খতিয়ানে নিজেদের নামে বি, এস রেকর্ড করেন। ৫৮ নং খতিয়ানের মো. ইউসুফ এর কোন জমি অবশিষ্ট না থাকলেও মো. জুয়েল রানা ও হাবিবুর রহমান কাছে দুই একর ৬৪ শতক জমি কিনেন। 


জুয়েল রানা ও হাবিবুর রহমান ভুয়া মালিকের কাছ থেকে জমির দলিল করে নামজারির মাধ্যমে ৩৮৫ ও ৩৮৯ নং খতিয়ান খুলে পায়রা বন্দরের অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরনের টাকা উত্তোলনের জন্য পায়তারা চালাচ্ছে। আমরা এর প্রতিকার চেয়ে ২০১৯ সালে কলাপাড়া সহকারি সিনিয়র জজ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত থেকে আমরা ২০২৩ সালে রায় পাই। রায় পেয়ে আমরা ভ‚মি অফিসে মিস কেস দায়ের করলে তাদের দলিলে কোন জমি না থাকায় কলাপাড়া সহকারী কমিশনার তাদের ৩৮৫ ও ৩৮৯ খতিয়ান দুটি বাতিল করেন। সার্ভেয়ার মো. হাবিবুর রহমানও নুরুজামান আসাদ পটুয়াখালী এল,এ, অফিসে চাকরি করার সুযোগে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অফিসের কর্মরত-কর্মচারীকে পক্ষে নিয়ে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ টাকা উত্তোলন চেষ্টা চালায়। 


সংবাদ সম্মেলন তিনি দাবী করেন, ৩৮৫ ও ৩৮৯ নং নামজারী ভূয়া খতিয়ান বাতিল করা হয়েছে। বাতিল কৃত খতিয়ানের মাধ্যমে  কোন ভাবেই যেন ক্ষতিপূরনের টাকা তুলতে না পারেন তার জন্য পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর এল,এ শাখার সকল কর্মকর্তাদের প্রতি দাবী জানান বাদশা মিয়া। 

জাফরান

×