অপরিকল্পিত পুকুর খননে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
উল্লাপাড়ায় কয়েকশ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি-নির্ভর ও জীবিকা নির্বাহের প্রধান উপায় কৃষিকাজ হওয়ায় জলাবদ্ধতায় বিপাকে পড়েছে হাজারো মানুষ। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হতাশায় দিন কাটছে কৃষকদের।
জানা গেছে, উপজেলার কৃষি জমির বৃহৎ একটি অংশ জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত আছে। জলাবদ্ধতার মূল কারণ হিসেবে অপরিকল্পিত পুকুর খননকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা। স্থানীয়রা দাবি করছেন, একশ্রেণির প্রভাবশালী প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নিয়ম অমান্য করে পুকুর খনন করেছে। তারা বলছেন, উপজেলার সবচেয়ে বেশি পুকুর খনন করা হয়েছে রামকৃষ্ণপুর ও বাঙ্গালা ইউনিয়নে। ফলে শত শত বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিনে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের আগরপুর খুদ্রসিমলা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, জলাবদ্ধতার কারণে এই অঞ্চলের অসংখ্য কৃষকের জমি অনাবাদি হয়ে আছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকরা। চাষাবাদ করতে না পারায় অনেকেই পরিবার নিয়ে দুঃসহ জীবন-যাপন করছেন। কৃষকরা বলছেন, শুধু আগরপুর খুদ্রসিমলা গ্রামেই তিনশ বিঘা জমি জলাবদ্ধ। পুকুর খননের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে পড়েছিল যে তারা পানি নিষ্কাশনের কালভার্টের মুখে পাড় দিতেও দ্বিধা করেনি।
আমরা ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিএডিসি অফিসে জলাবদ্ধতা নিরসনে অভিযোগ দায়ের করেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা। এ বিষয়ে উল্লাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শারমিন আক্তার রিমা বলেন, পুকুর খননের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান হচ্ছে। জলাবদ্ধতার কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।