রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর , প্রোভাইস চ্যান্সেলর ও রেজিস্টার পদত্যাগের পর দীর্ঘ ৩ মাসের অধিক সময় অতিবাহিত হয়। যার কারণে পাহাড়ের একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্বিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
৫ আগস্টে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর ছাত্র শিক্ষকের চাপের মুখে রাবিপ্রবি ভাইস চ্যান্সলর প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার , প্রো ভাইস চ্যান্সলর প্রফেনর ডঃকাঞ্চন চাকমা ও মোহাম্মদ ইউচুপ পদত্যাগ করায় এই জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ।
ভিসির বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সীমাহীন দুর্নীতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কমিটিতে নিজের পছন্দের লোক রাখা, ভিসির স্বামীর মতামত শিক্ষকদের উপর জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া, নানা কাজে পক্ষপাতিত্ব করা, বিধি মোতাবেক প্রশাসনিক কাজ করতে বাঁধা প্রদান করায় শিক্ষক সমাজ ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন।
এছাড়া শিক্ষকদের প্রতি কটু কথা বলা , অযথা হয়রানী ও হুমকি দেয়া তারঁ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। এর পরও খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে বিভিন্ন বিভাগীয় কোর্সসমূহ নিজের ও স্বামীর পছন্দের মানুষকে দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করা। তিনি একাডেমিক কমিটির মতামতকে অগ্রাহ্য করে পরীক্ষা কমিটিতে বহিরাগত সদস্য হিসেবে নিজের পছন্দের লোক রাখার জন্য চাপ প্রয়োগ করা এবং নিয়মবহির্ভূত ভাবে বিভিন্ন প্রশাসনিক ও একাডেমিক কাজে হস্তক্ষেপ করে সকল শিক্ষকদের মাঝে চরম দ্বন্দ্ব বিভেদ তৈরি করেছেন।
প্রো ভিসির ও রেজিস্টারের বিরুদ্ধেও নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে । যার কারণে । তাদের পদত্যাগ করার জন্য সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমিতি আল্টিমেটাম দেয়ায় গুরুত্বপূর্ণ এই ব্যক্তিরা ১৮ আগস্ট পদত্যাগ করে চলে যায়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
এর পর রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি বাঙ্গালী সংর্ঘষের পর বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। গত সপ্তাহে ক্লাশ খুলেছেও ইন্নয়ন কার্যক্রম এখনো স্থবির হয়ে পড়ে আছে । এই সব কারণে ভিসি একই সঙ্গে রাবিপ্রবি স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এর পদ থেকেও পদত্যাগ করেছে।
ভিসির পদত্যাগ এর পর শিক্ষকেরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ করেছে। ফলে নতুন ভিসি না আসায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে রয়েছে।