ডিএপি এবং এমওপি সারের চড়া দামে দিশাহারা উপজেলার কৃষক। আলু ও সরিষা মৌসুম সামনে রেখে সার বিশেষ করে ডিএপির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছে বেসরকারি আমদানিকারক ব্যবসায়ী এবং বিএডিসি ও বিসিআইসি’র ডিলাররা।
৫০ কেজি ওজনের প্রতিবস্তা ডিএপি সার বিক্রি করা হচ্ছে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে সাড়ে তিনশ’ থেকে চারশ’ টাকা বেশি দামে। তাও মিলছে না চাহিদামত।
জানা গেছে, উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের জন্য বিসিআইসি এবং বিএডিসির ডিলার হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে নসরতপুরের মেসার্স রুমা কৃষি ভা-ার নামক সার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে। কিন্তু বুধবার সরেজমিন ওই ইউনিয়নের কোনো পয়েন্টে ওই ডিলার দোকান ও গুদামের হদিস মেলেনি।
সরেজমিন কথা হয় ওই ইউনিয়নের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চারজন রিটেইলার বিক্রেতার সঙ্গে। তারা তাদের ইউনিয়নের ডিলার কে সেটাও জানে না বলে দাবি করেন। তারা বলেন আমরা আদমদীঘি উপজেলা সদরের বড় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের নিকট থেকে পরিবহনসহ প্রতিবস্তা ডিএপি সার দেড় হাজার টাকা দামে কিনে ২০ টাকা লাভে কৃষকদের নিকট বিক্রি করছি। সরকার নির্ধারিত এক হাজার ৫০ টাকার ডিএপি সার সরবরাহ করে না ডিলার।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে মেসার্স রুমা কৃষি ভা-ার নামক ডিলারের প্রতিনিধি শাহজাহান আলী ওই ইউনিয়নের কোনো পয়েন্টে দোকান ও গুদাম না থাকার কথা স্বীকার করেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মিঠু চন্দ্র অধিকারীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি চড়া দামে সার বেচা-কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
তবে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নে নিয়োগ করা ডিলারের দোকান ও গুদাম না থাকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, উপজেলা সদরের মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্স নামক বড় রিটেইলার আব্দুর রহিম ও রওশন আলীর মাধ্যমে ওই ইউনিয়নের ছোট রিটেইলারদের মাঝে সরকারি বরাদ্দের সার প্রাপ্তি সাপেক্ষে সরবরাহ করা হয়। বিষয়টি ডিলারী শর্ত লঙ্ঘন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।