ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

দখলবাজদের হাত থেকে জামি’য়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা উদ্ধারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৫৪, ২০ নভেম্বর ২০২৪

দখলবাজদের হাত থেকে জামি’য়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা উদ্ধারের দাবি

সংবাদ সম্মেলন

সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধভাবে মাওলানা মাহফুজুল হকের নেতৃত্বে তার পরিবারের লোকজনসহ শতাধিক সন্ত্রাসী গত ৫ আগস্ট রাত ১১টায় জামি’য়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসায় হামলা চালায়। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ এলাকায় অবস্থিত ওই মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্রদের উপর হামলা চালিয়ে তাদের বের করে দিয়ে অবৈধ ও বেআইনিভাবে দখল করে নেয়। পরবর্তীতে ওয়াকফ প্রশাসনকে ব্যবহার করে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বৈধ কমিটিকে উচ্ছেদ করে তাদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের হাত থেকে মাদ্রাসাটি উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন ওই মাদ্রাসার বৈধ পরিচালনা পরিষদ।


গতকাল বুধবার সকালে সেগুনবাগিচার ডিআরইউ-এর নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান ভুক্তভোগী বৈধ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্য ও শিক্ষার্থীরা।


এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লী ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আলহাজ¦ আব্দুর রহিমসহ অন্যান্যরা।


লিখিত বক্তব্যে আলহাজ আব্দুর রহিম জানান, গত ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর এই জবরদখলকারী শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের ঘোষিত অবৈধ আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমের উপর আদালত ইনজাংশন জারি করেন। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট তার আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে শাইখুল হাদিসের সন্তানদের থার্ড পার্টি হিসেবে উল্লেখ করে তাদের আবেদনও নকচ করে দেন। এরই প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ঢাকা জেলার ডিসি তাদেরকে উচ্ছেদ করে মাদ্রাসার বৈধ পরিচালনা পরিষদের কাছে দখল বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মাদ্রাসা নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। কিন্তু গত ৫ আগস্ট আদালতের আদেশ অমান্য করে দখলদার মাওলানা গিয়াস উদ্দিন অসত্য তথ্য দিয়ে ওয়াকফ প্রশাসনের কাছে আবেদন করেন। যে কমিটিকে ৩ বছরের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছিল সেই কমিটিকেই অদৃশ্য কারণে তিন মাসের মাথায় কোনো নোটিশ না দিয়েই বাতিল করে দেন।

 


তিনি আরও জানান, বৈধ পরিচালনা পরিষদের পক্ষ থেকে মাদ্রাসার অবৈধ দখলমুক্ত করতে ছয়টি দাবি জানাচ্ছি। দাবিগুলো হল, যেভাবে বেআইনিভাবে মাদ্রাসাটি দখল করেছে তার প্রতিকারে নিজ দায়িত্বে মাদ্রাসা ত্যাগ করে বৈধ পরিচালনা পরিষদের কাছে চাবি বুঝিয়ে দিতে হবে। ওয়াকফ প্রশাসককে অন্যায্য ও বেআইনি নোটিশ বাতিল করতে হবে এবং বৈধ কমিটি বহাল রেখে দখলদারদের স্বেচ্ছায় মাদ্রাসা ত্যাগে ডিসির মাধ্যমে তাদের উচ্ছেদ করে বৈধ কমিটিকে বুঝিয়ে দিতে হবে। ভবন জবরদখলে যেসব লুটপাট, ভাংচুর এবং সম্পদ ও নগদ অর্থ তছরুফ করা হয়েছে সরকারকে তার ক্ষতিপূরণে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। জবর দখলকারী ও বেআইনিভাবে জারি করা ওয়াকফ প্রশাসনের নোটিশ বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ওয়াকফ প্রশাসনের দুর্নীতির বিষয়ে তারা যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। এই পদক্ষেপ তরান্বিত করার দাবি জানিয়ে দায়িত্বশীলদের জন্য ফ্যাক্ট চেক না করে শুধু জনশ্রুতিতে প্রভাবিত হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ কোনোভাবেই শোভনীয় নয়। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে দাবি, গত ৫ আগস্ট মাদ্রাসা ভবনে দখলকান্ড চলাকালে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে এর প্রতিকারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশা করেন তিনি।

ইসরাত

×