জামালপুরে শিশু ধর্ষণ মামলার রায়ে একমাত্র আসামি শহিদ মিয়াকে (৪৩) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বেলা ১১টায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর সিনিয়র জেলা জজ বিচারক মো. শহিদুল ইসলাম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শহিদ মিয়া মেলান্দহ উপজেলার দিলালেরপাড়া এলাকার মৃত দস্তর মন্ডলের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৭ এপ্রিল ভোর ৫টায় মেলান্দহ উপজেলার দিলালেরপাড়া গ্রামে সাত বছর বয়সী এক কন্যাশিশুকে জোর করে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী শহিদ মিয়া। পরদিন শিশুটির বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২০০০ সংশোধনী ২০০৩ এর ৯ (১) ধারায় মেলান্দহ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ আট বছর আইনি লড়াই ও ১০ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বুধবার উপরোক্ত রায় দেন বিচারক। এদিকে রায়ে সন্তুষ্ট না বলে জানিয়ে শহিদ মিয়ার বড় মেয়ে শাহানা জনকণ্ঠকে বলেন, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে আমার বাবাকে। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব৷ তবে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি মো. রেজাউল আমীন শামীম জনকণ্ঠকে বলেন, ধর্ষণের দায়ে শহিদ মিয়াকে যাবজ্জীবন ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট।