শহীদ ছাত্র রিয়াজ
এখনও কান্না থামেনি কোটা আন্দোলনে শহীদ ছাত্র রিয়াজের পরিবারের।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার তারানগর ইউনিয়নের ছোট ভাওয়াল গ্রামের বাসিন্দা আসাব উদ্দিনের তিন ছেলের মধ্যে সবার ছোট রিয়াজ হোসেন। সরকারী ইস্পাহানী ডিগ্রি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষে বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ছিল। কলেজের অন্যান্যদের মত সে ও কোটা আন্দোলনে যোগ দিতে যাচ্ছিল।
কিন্তু ১৯ জুলাই বিকেলে মোহাম্মদপুর যাওয়ার পর মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হয়ে প্রথমে আটি বাজার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মাথায় ব্যান্ডেজ করে তাকে ঢাকায় সরকারি কোন হাসপাতালে রেফার করে। পরবর্তীতে সোহরাওয়ারদী হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
১৯ তারিখ সন্ধ্যায় মারা গেলেও তার স্বজনরা বিভিন্ন হাসপাতালে খোজ করেও লাশ না পেয়ে পাগলের মতো বিভিন্ন স্থানে ছুটে বেড়ায়। অবশেষে ২০ জুলাই দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে সোহরাওয়ারদী হাসপাতালে তার লাশের খোজ পাওয়া যায়। আজ ( ২০ নভেম্বর ) বুধবার দুপুরে রিয়াজের মা শেফালী বেগম জানান,আমার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে। আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল সেনাবাহিনী অফিসার হওয়ার। আজকে সাড়ে তিন মাস হলো আমার ছেলে এই দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছে। আমার কোন দাবি নাই। আমার ছেলে যে উদ্দেশ্য নিয়ে শহীদ হয়েছে তা যেন বাস্তবায়ন হয়। দেশের মানুষ যেন আমার ছেলেকে ভূলে না যায়। দেশ বাসীর কাছে আমার একটাই অনুরোধ সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন রিয়াজকে জান্নাতবাসী হিসেবে কবুল করে।
রিয়াজের বাবা আসাব উদ্দিন জানান, আমরা কোনো রাজনীতি করি না। আমার ছেলে কোন দল করতো না। আমার ছেলেকে কেন এভাবে মরতে হল। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এলাকাবাসী জানায়, রিয়াজ খুব ভালো ছেলে ছিলো। ওদের তিন ভাইয়ের মধ্যে রিয়াজ খুব মেধাবী ছিলো। ও যখন মারা যায় আমাদের এলাকার সবার মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। এভাবে যেন কাউকে জীবন দিতে না হয়। আমরা রিয়াজের হত্যা কারীদের বিচার চাই।
নিহত রিয়াজ হোসেন পড়াশুনার পাশাপাশি স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিসে কাজ করে নিজের পড়াশুনার খরচ সহ সংসার চালাতো।
ইসরাত