যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া
রাজধানীর হাজারীবাগে রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে ছুরিকাঘাতে আহত সাবেক যুবদল নেতা জিয়াউর রহমান জিয়া (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। হাজারীবাগের ২২ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন তিনি।
আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি মারা যান।
জিয়ার স্থায়ী বাড়ি হাজারীবাগ ভাগলপুর লেনে। তার বাবার নাম মৃত হাজী আফতাব উদ্দিন। অবিবাহিত ছিলেন জিয়া। ২ ভাই ১ বোনের মাঝে তিনি ছিলেন মেঝো।
স্থানীয় যুবদল সদস্য মো. ডালিমসহ স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাজারীবাগ এনায়েতগঞ্জ মসজিদ থেকে মাগরিবের নামাজ পড়ে যখন জিয়া বের হন, তখন ৩০-৪০ জনের একটি দল এসে তাকে এলোপাতাড়ি মারধর ও ছুরিকাঘাত করে। আহত অবস্থায় ফেলে রেখে গেলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাকে নেয়া হয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর আবার ঢাকা মেডিকেলে এনে ভর্তি করা হয়৷ চিকিৎসাধীন আজ ভোরে তিনি মারা যান।
তারা আরও জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে হাজারীবাগ পাম্পের পাশে স্থানীয় যুবকদের নিয়ে একটি সালিশি বিচার হয়। সেখানে এলাকার কয়েকজন যুবকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে বিএনপি নেতা শিবলু, সুমন। পরদিন শুক্রবার ওই যুবকরা তাদের বিরুদ্ধেই চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন। এটি নিয়ে তারা ক্ষিপ্ত হয়। জিয়া ওই যুবকদের ফুসলিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ওইদিন সন্ধ্যায় সুমনের হুকুমে জিয়াকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেছে সন্ত্রাসীরা।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে। হাজারীবাগ থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।
জাফরান