বেগুন
উপজেলার রোসাংগিরী ইউনিয়নের আজিমনগর গ্রামে তেলপারই খালের তীরবর্তী কৃষিজমিগুলো বন্যা কবলিত৷ অথচ কৃষকের অদম্য চেষ্টা আর সময়োপযোগী চাষাবাদের কারণে এখানে আগাম ফলন উৎপাদিত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার আজিমনগর গ্রামের বিস্তীর্ণ কৃষিজমিজুড়ে আগাম বেগুনের বাম্পার ফলন হয়েছে৷ প্রতিটা গাছে গাছে ধরেছে বেগুন। বেগুন আগাম উৎপাদিত হওয়ায় কৃষকেরা তুলনামুলকভাবে দামও পাচ্ছেন বেশী।
জানা যায়, এখানে কয়েক জাতের বেগুন চাষাবাদ করা হয়েছে। বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এ জমিগুলো পানির নিচে তলিয়ে থাকার ফলে পলিমাটি জমে। এ মাটি বেশ উর্বর ও কৃষি উপযোগী। ফলে শীতের আগমনের আগেই এখানে বেগুন সহ শীতকালীন শাক-সবজি আবাদ করা হয়।
কৃষক মোহাম্মদ ফারুক বলেন, বেগুন ছাড়াও এখানে মিষ্টি কুমড়া, মুলা সহ নানা জাতের শাক চাষাবাদ করা হয়। সেচ ও যাতায়াত সুবিধার কারণে এ জমিগুলোতে স্বাচ্ছন্দ্যে চাষাবাদ করতে পারি।
রোসাংগিরী ইউপি সদস্য সফিকুর রহমান বলেন, কৃষক ফারুক কেবল বেগুন, মুলা, শাক নয়, তিনি অসময়ে আগাম শশা উৎপাদন করে থাকেন। বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দামে শশা বিক্রি করে থাকেন। বেগুনের বাজারও ভালো পেয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, উচু জমিগুলোতে আগাম চাষাবাদ শুরু করা গেলে আজিমনগরের বেগুন চাষী ফারুকের মত ভালো দাম পাওয়া সম্ভব৷
শহিদ