৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর সারা দেশের ন্যায় বাউফল উপজেলা প্রশাসনেও রদবদল করা হয়। বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীকেও বদলি করা হয়েছে। তাকে গত ৩ মাসে ৪ বার বদলি করা হয়।
প্রথমে মোঃ বশির গাজীকে ঢাকা বিভাগে বদলি করা হয়। এরপর ৪৮ ঘন্টা যেতে না যেতে তাকে পুনরায় ময়মনসিংহ বিভাগে বদলি করা হয়। সেই আদেশ আবার স্থগিত করে তাকে বাউফলে বহাল রাখা হলেও গত ১২ নভেম্বর বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে মোঃ বশির গাজীকে আবার বরগুনা জেলার বেতাগি উপজেলায় বদলি করা হয়। আর ওই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে বাউফলে বদলি করা হয়। কিন্তু নতুন কর্মস্থলে কেউই যোগদান করেননি।
অভিযোগ রয়েছে, বাউফল উপজেলা কৃষকদলের এক নেতার নাম ব্যবহার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বশির গাজীর কাছে ১২০০ কৃষকের নামে কৃষি উপকরণ বরাদ্ধ চাওয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকারী নিয়ম উপেক্ষা ওইসব নামে কৃষি উপকরণ বরাদ্ধ দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে বদলি করানো হয়। কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ইউএনও এই বদলি প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অফিসপাড়ায় কর্মকর্মর্তাদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক কর্মকর্তা বলেন, বিএনপির গ্রুপিংয়ের খেসারত দিতে হচ্ছে তাদেরকে। এ উপজেলায় বিএনপির ৩-৪টি গ্রুপ রয়েছে। এক একটি গ্রুপের নেতারা একেক সময় এসে অযৌক্তিক দাবি করে বসেন। আর তাদের সেই দাবি না মানলে অসাদাচারন করা হয়। বদলির দাবিতে রাস্তায় নামেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আপেল মাহমুদ ফিরোজ বলেন, ‘বিএনপির মধ্যে কতিপয় সুবিধাবাদি নেতারা এ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। আমরা তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জেলা বিএনপিকে অবহিত করবো। উপজেলা প্রশাসন সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবে এটা আমরাও চাই। বর্তমান ইউএনও বশির গাজীর বিরুদ্ধে বিএনপির কোন অভিযোগ নেই। তিনি একজন দক্ষ কর্মকর্তা হিসাবে সুনাম অর্জন করেছেন।’
তাবিব