এ উপজেলার টিকে গ্রুপের মালিকানাধীন বারমাসিয়া চা বাগানে কবরস্থান, মন্দিরের জায়গা ও শ্রমিকের বসতঘরের উঠানে চা গাছ রোপনকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার থেকে বারমাসিয়া চা বাগানের কারখানার মূল ফটকের সামনে শতশত শ্রমিক জড়ো হয়ে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
এসময় শ্রমিকের বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে স্লোগান দেয়। খবর পেয়ে উদালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির কয়েকজন পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেও আন্দোলন থামাতে সক্ষম হয়নি।জানা যায়, চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাদের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর মূল ভুমির ২.৫% চা গাছ রোপন করে থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায় শ্রমিকের বসতঘর উঠান, চলাচলের রাস্তা, চা শ্রমিকের ব্যবহৃত শতবর্ষী কবরস্থানের জায়গায় চা গাছ রোপন করে বাগান কর্তৃপক্ষ।
এর প্রেক্ষিতে চা শ্রমিকদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চারা গাছ না লাগাতে নিষেধ করে চা বাগানের পঞ্চায়েত নেতারা। এসময় শ্রমিকদের সাথে বাগানে কর্মরত কর্মকর্তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বাগানের কর্মকর্তারা চারা রোপনের কাজ বন্ধ রেখে নিরাপদে অবস্থান নেয়। এর প্রতিবাদে বাগানের সকল শ্রমিক তাদের কাজ বন্ধ রেখে ফ্যাক্টরি ও কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে তাদের দাবি দাওয়া জানান।এসময় চা শ্রমিকরা বলেন, বাগানের কর্মকর্তারা কোন রকম সুযোগ সুবিধা না দিয়ে উল্টো আমাদের কৃষি জমি, উপসনালয়ের জায়গা, বসতবাড়ির উঠান, চলাচলের পথ, এমনকি কবরস্থানের জায়গা পর্যন্ত দখলে নিয়ে তাদের খেয়ালখুশি মতো চা গাছ রোপন করছে। তারা উল্টো শ্রমিকদের জীবনযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।বারোমাসিয়া চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি অপু কুর্নি বলেন, বাগানের কর্মকর্তারা আমাদের উপর অত্যাচার করছে। তারা আমাদের ন্যায্য অধিকার দিচ্ছে না। তারা কবরস্থান ও মন্দিরের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে। এমনকি শ্রমিকদের বসতঘরের উঠান ও কৃষি জমিতেও চারা গাছ রোপন করে দিচ্ছে। প্রতিবাদ করলেও তারা তা শুনছে না। আজ শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছে। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই।চা বাগানের জেষ্ঠ্য ব্যবস্থাপক উৎপল বিশ্বাস বলেন, চা বাগান কর্তৃপক্ষ নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছে। হঠাৎ করে আজ থেকে শ্রমিক আন্দোলন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা তাদের সাথে বসে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করব।