নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবাআইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে আত্মগোপনে থাকার পর হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. মনির হোসেন (৩২) কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। এ বিষয়ে সোমবার রাত ৮ টায় র্যাব-১১’র সিপিসি-১’র কোম্পানী কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃত মো. মনির হোসেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কোতয়ালেরবাগ এলাকার মোঃ বিল্লাল মুন্সির ছেলে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল রাতে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন ফতুল্লা থানার শিয়াচর এলাকার আনিছ মিয়ার ভাড়াটিয়া ও ঝুট ব্যবসায়ী কবির হোসেন (৩৫)। রাত ১ টার দিকে ভিকটিমকে ফোন করে তার ভাড়া বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় অভিযুক্ত আসামিরা। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরেননি। পরদিন সকালে পাশের এলাকার একটি ডোবা থেকে তার গলা ও পেট কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম কবির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে। দীর্ঘ ১ যুগ পর ২০২৩ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন তহুরা এ হত্যা মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। ঐ রায়ে দুই জনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও পাচঁজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় দেন আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।
আমৃত্যু কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন- ফতুল্লার সিয়াচর এলাকার সালেহা বেগম ও মনির হোসেন। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলো- কাজল মিয়া, মোঃ জুয়েল, নুরুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম ও মোঃ লিটন মিয়া। ঐ মামলার রায় হওয়ার পর থেকে আসামী মো. মনির হোসেন আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারীর বাহিরে গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপন চলে যায় এবং দীর্ঘ দিন পলাতক থাকে।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর সোমবার র্যাবের একটি দল অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মোঃ মনির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র্যাব।
তাবিব