ফয়সাল আহমেদ খান শুভর খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন -জনকণ্ঠ
প্রেম বিরোধের জেরে নিহত ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমেদ খান শুভর খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে এলাকায়। সোমবার সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১১ টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে যোগ দেয় শুভর পরিবার ও স্বজনসহ এলাকার নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ঈশ্বরগঞ্জ-আঠারবাড়ি সড়কের সরিষা ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায় অনুষ্ঠিত সোমবারের এই মানববন্ধন ও সমাবেশে শুভর ভাই নাজমুল খান শ্রাবন, ইউপি মেম্বার জামাল খান সন্তোষ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ খান লিটন, বিল্লাল মাস্টার, দিলীপ খান ও সাইফুল ইসলাম মনির উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বলা হয় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেওয়া হবে। ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলাম জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান চলছে।
এলাকাবাসী জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের দুই খান পরিবারের বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করা দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রেম সম্পর্ক ছিল। মেয়ের প্রভাবশালী পরিবার চার বছরের এই সম্পর্ক মেনে না নিয়ে পর্নোগ্রাফি আইনে প্রেমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এই মামলায় শুভকে গ্রেপ্তারে গত ১০ নবেম্বর প্রেমিকার দুই ভাই ও মামাকে নিয়ে ময়মনসিংহ নগরীর বলাশপুর আবাসিক এলাকায় অভিযান চালায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। অভিযোগ পুলিশের সহায়তায় প্রেমিকার ভাই ও মামা বাসার ভেতরে ঢুকে পুলিশী তল্লাশির এক ফাঁকে শুভকে কৌশলে ছাদে নিয়ে যায় এবং পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেয়। গুরুতর অবস্থায় শুভকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিক্যালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন গত ১৫ নভেম্বর মারা যান শুভ। এই ঘটনায় প্রেমিকার বাবা, দুই ভাই ও দুই মামাসহ এজাহারভুক্ত ছয়জন ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন শুভর বাবা।