ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

এক বছরেই সংযোগ সড়কে ধস

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটমোহর, পাবনা ॥

প্রকাশিত: ২১:০৫, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

এক বছরেই সংযোগ সড়কে ধস

উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর ঘাটে বড়াল নদীর ওপর নির্মিত ব্রিজের সংযোগ সড়কে ধস -জনকণ্ঠ

পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর ঘাটে বড়াল নদীর ওপর উপজেলা এলজিইডির তত্ত্বাবধানে প্রায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। উদ্বোধনের এক বছরেই ব্রিজের দুই পাশের সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। কয়েক মাস ধরে ব্রিজটি ব্যবহারের অনেকটাই অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে।
তথ্য সূত্র ও সরজমিনে দেখা যায়, চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের গোপালপুর ঘাটে বড়াল নদীর ওপর ৯ হাজার মিটার চেইনেজে ৬০ মিটার দীর্ঘ আরসিসি গার্ডার ব্রিজটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ২শ’ ২ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করে। গত বছর ২৭ ফেব্রুয়ারি পাবনা ৩ (চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন ব্রিজটি উদ্বোধন করেন।
এ বিষয়ে হরিপুর ইউনিয়নের সাবেক সদস্য বাবলুর রহমান বাবলু বলেন, ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ সড়কের প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও কাজের কাজ কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ও ঠিকাদার লাখ লাখ টাকা লুটপাট করেছে। আওয়ামী দুঃশাসনের কর্মকাণ্ড এটা। তা না হলে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতো না। কৃষিনির্ভর মানুষ পণ্য পরিবহনে সেতুটি ব্যবহার করছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, অনিয়মতান্ত্রিক আলগা বালিমাটির ওপর ইট বিছিয়ে সংযোগ সড়কটি নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে অনেক স্থানে ধসে গেছে। ভারি পরিবহন চলাচল করতে পারে না। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ কাজের মান পরীক্ষা করলেই অর্থ লুটের বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে তারা দ্রুত সড়কটি মেরামতের আবেদন জানান। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) চাটমোহর উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ব্রিজের দু’পাশে সংযোগ সড়ক ধসে গেছে। আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। দ্রুত ব্রিজটির সংযোগ সড়ক সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে।

দাউদকান্দিতে এখনো পাকা হয়নি
ইউপির সড়ক

নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, কুমিল্লা থেকে জানান, দাউদকান্দি উপজেলার পাঁচগাছিয়া (পশ্চিম) ইউনিয়ন পরিষদসহ ১৪ গ্রামের আসা-যাওয়ার বিভিন্ন রাস্তা এখনো পাকা হয়নি। ফলে ইউনিয়ন পরিষদসহ গ্রামের আশপাশের রাস্তা-ঘাটগুলো পাকা না হওয়ায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার পাঁচগাছিয়া (পশ্চিম) ইউনিয়নের ১৪ গ্রামের ৩০ হাজার মানুষকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। দাউদকান্দি-মতলব সড়কটিও এই ইউনিয়নের ওপর দিয়ে গেছে। ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামের সাধারণ মানুষকে তাদের নাগরিক সেবা পেতে যাতায়াত করতে হয় এসব কাঁচা রাস্তাটি দিয়েই। ফজিলাতুন আরশাদ নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার  মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. রুহুল আমিন বলেন, আমি দীর্ঘ ৪১ বছর এখানে আছি। এখন পর্যন্ত এই পরিষদের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট কাঁচা অবস্থায় আছে। যার জন্য মাদ্রাসার ছাত্র ও অভিভাবকদের আসা-যাওয়া এবং এলাকার মানুষের চলাচলের জন্য সমস্যাটা দীর্ঘদিনের। তাই রাস্তাটি পাকা করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।
দক্ষিণ বাজারখোলা গ্রামের সমাজ সেবক মো. নাছির আহমেদ পাটোয়ারী জানান, আমাদের পূর্ব দিকের রাস্তাটিসহ এই ইউনিয়নের অধিকাংশ রাস্তা এখনো কাঁচা রয়ে গেছে। দাউদকান্দি উপজেলার মধ্যে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদটি যোগাযোগের দুরবস্থার কারণে সবচেয়ে অবহেলিত হয়ে আছে।
ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোতালেব হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের আসা-যাওয়ার সড়কটি পাকা করার জন্য চেয়ারম্যানকে বারবার বলেছি, কিন্তু কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। উপজেলা পরিষদের বেশ কয়েকবার গিয়েছি। তারা বলছেন বাজেট কম থাকার কারণে ঠিকাদার কাজ করতে আগ্রহী নয়।
দাউদকান্দি উপজেলা প্রকৌশলী স্নেহাল রায় বলেন, পাঁচগাছিয়া (পশ্চিম) ইউনিয়ন পরিষদের অধিকাংশ রাস্তাই কাঁচা। চলাচলের দুর্ভোগের বিষয়টি আমরা জানি। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা ব্যবস্থা  নেব।

×