মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার অফিস সহকারী কামরুন নাহার ৫ মাস অফিস না করেও নিচ্ছেন নিয়মিত বেতন-ভাতা। অভিযোগ রয়েছে,পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রেকাশ চন্দ্র সরকারের সহায়তায় নিয়মিত বেতন-ভাতা নিচ্ছেন তিনি ।
জানা যায়, স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর করা চেক জালিয়াতির মামলায় চলতি বছরের জুলাই মাসে কারাদন্ডসহ ৩ লাখ টাকা অর্থদন্ড হয় কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে। এর পর থেকেই গ্রেফতার এড়াতে গত ৩ মাস যাবৎ বিনা ছুটিতে অফিস না করেই নিয়মিত সরকারি বেতন-ভাতা তুলছেন কামরুন নাহার।
কামরুনাহারের কর্মস্থল উপজেলার উথলী ইউনিয়নের কৃষ্ণদিয়া ব্লকে। সপ্তাহে মাত্র দুদিন ডিউটি থাকলেও গত ৩ মাসের মধ্যে ২২ শে অক্টোবর হাজিরা দিয়েই আত্নগোপনে যান তিনি।চলতি মাসের নভেম্বর ১২ তারিখ পর্যন্ত কর্মস্থলে অনুপস্থিত তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে এ কর্মচারী বেতন -ভাতা নেওয়ায় সরকারের অর্থের যেমন অপচয় হচ্ছে ঠিক তেমনি চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হচ্ছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী।
এ বিষয়ে কামরুন নাহারের সাথে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি । আর এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক রেকাশ চন্দ্র সরকার ।
শিবালয় উপজেলা পরিকল্পনা কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত মোঃ আমিনুল ইসলাম জনকন্ঠকে বলেন,‘কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকে সরকারি সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করা কর্মচারী কামরুন নাহারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।’
তাবিব