দরিয়ানগর ব্রিজের নীচ দিয়ে প্রবহমান খাল ও দখলকরা খাস জায়গা দখলমুক্ত করেছে প্রশাসন
কক্সবাজার সদরের অন্যতম পর্যটন স্পট দরিয়ানগর ব্রিজের নীচ দিয়ে প্রবহমান বড়ছড়া নামক খালের উপর কংক্রিটের পিলার ও জিও ব্যাগ বসিয়ে দখলকরা খাল ও খাস জায়গা দখলমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর। রবিবার বিকেলে পর্যটন স্পট দরিয়ানগরে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা যায়, জিওব্যাগ ও কংক্রিটের পিলার দিয়ে বাধ তৈরি করে খালের পানির প্রবাহ আটকে খাল দখলের অভিযোগ পৌছে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন তৎক্ষণাৎ ওই খাল ও জায়গা দখলমুক্ত করতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন। রবিবার বিকেলে ওই স্থানে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ এবং ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় একটি যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সদর, শারমীন সুলতানা, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: মুসাইব ইবনে রহমান, রেঞ্জ অফিসার সমীর রঞ্জন সাহা উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এতে দেখা যায় যে, ছড়ার উপর প্রায় ৮১টি পিলার নির্মান করেছে জবরদখলকারীরা। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি লম্বালম্বি বালুভর্তি জিওব্যাগও ফেলা হয়েছে। একারণে খালের পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এমতাবস্থায় স্থানীয় শ্রমিক ও বীচকর্মীদের সহায়তায় বেশ কিছু পিলার ভেংগে ফেলা হয়। জিওব্যাগ গুলোকেও কেটে বালি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে বালির বাধ অপসারন করে দেয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে না পাওয়ায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শককে ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।