রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় কামরাঙ্গীরচর ও সবুজবাগ থেকে শিশুসহ দুজনে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন গৃহিণী রিমা আক্তার লিপি (২৮) ও স্কুল ছাত্রী মরিয়ম (৮)।
রোববার রাতে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।
রিমার বাড়ি নোয়াখালির চাটখিল উপজেলার হিরাপুর গ্রামে। বাবার নাম লিয়াকত আলী। স্বামী মামুনসহ ২ছেলে ও ১মেয়েকে নিয়ে কামরাঙ্গীরচর পশ্চিম রসুলপুর চান মসজিদের পাশে ৩ নং গলিতে আব্দুর রবের বাড়ির ছাদে একটি রুমে ভাড়া থাকতেন।
কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, খবর পেয়ে রোববার রাত সাড়ে ১০টায় পশ্চিম রসুলপুরের ওই বাড়ির ছাদের উপর একটি বাসা থেকে ফ্যানের সাথে ওড়না পেচানো গলায় ফাঁস লাগা ওই তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পারিবারিক কলহ, আর্থিক অভাব-অনটনের কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি রোববার রাত ১০টার দিকে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে উল্লেখ করা হয়।
মর্গে রিমার মামা আমিনুর রহমান জানান, রিমার স্বামী মামুন বেকার। রসূলপুরের ৫ম তলা বাড়িটির ছাদে ছোট একটি রুমে ভাড়া থাকতেন। আর্থিক অভাবে ছিলেন রিমার পরিবার। আত্মীয়স্বজনা বিভিন্ন সময় তাদের সাহায্য সহযোগীতা করতেন। ঘটনার সময় তার স্বামী বাসার বাইরে ছিলেন।
অপরদিকে, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার নওমালা গ্রামের মাসুদ খান ও লিপি বেগম দম্পতির মেয়ে মরিয়ম। পরিবারের সাথে সবুজবাগ থানাধীন পশ্চিম রাজারবাগ বাগপাড়া রওশন মঞ্জিল গলিতে একটি বাসায় থাকতো।
শিশুটির চাচা মো. মোশারফ খান জানান, স্থানীয় একটি স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী মরিয়ম। তার বাবা রাজমিস্ত্রী ও মা গৃহিণী। দুইবোনের মধ্যে সে ছিলো বড়। রোববার বেলা ৩টার দিকে স্কুল থেকে বাসায় ফিরে সে। এরপর তার মা দ্রুত গোসল করে আসতে বলে। তখন বাথরুমে ঢুকলেও আধাঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সে আর বের হয়নি। পরে সন্দেহ হলে তারা ডাকাডাকি শুরু করেন। এতে কাজ না হলে স্থানীয় রাজমিস্ত্রী এনে দরজা ভেঙ্গে দেখেন, কাপড় ঝুলানোর হ্যাঙ্গারের সাথে ওড়না পেচানো গলায় ফাঁস লেগে আছে মরিয়ম। পরে তারা দ্রুত মুগদা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরবর্তিতে সন্ধ্যায় মুগদা হাসপাতাল থেকে সবুজবাগ থানার এসআই মো. আশরাফুল্লাহ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান। সুরতহালে তিনি উল্লেখ করেন, শিশুটির গলায় অর্ধচন্দ্রাকার দাগ রয়েছে। বাথরুমের হ্যাঙ্গারের সাথে ওড়না বেধে দোল খেলার সময় একপাশের বাঁধ ছুটে গলায় ফাঁস লেগে মারা গিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক তদন্তে উল্লেখ করেন তিনি।
জাফরান