গুদাম ঘরে ভাংচুর ও আগুন
একদল দূর্বৃত্ত রবিবার সন্ধ্যায় কেশবপুরের সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যানের কলাগাছি বাজারের একটি মৎস্য খাদ্যের গুদামঘর, একটি বইয়ের দোকান ও সারুটিযা গ্রামে ভাসমান কফি হাউজ ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে।
এ ঘটনায় চিহৃত সন্ত্রাসীদের নামে পৃথক পৃথক অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা। তবে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, সুফলাকাটি ইউপি চেয়রম্যান এস এম মুনজুর রহমানের মায়িশা মৎস্য খাদ্যের গুদামঘর ভাংচুর করে গুদামের ভেতর থেকে ১শ'৮০ বস্তা খৈল, ভুষি ও মাছের খাদ্য (ফিড) লুট করে নিয়ে যায়। লুটকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ৬ লাখ টাকা। মালামাল নেয়ার পর ওই গুদাম ভাংচুর করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে এক লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করছে। একই সময় সন্ত্রাসীরা উক্ত বাজারের ওয়ালিউল ইসলাম ওয়ালিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর করে। এসময় বাজারে থাকা জামায়াত নেতা মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কাসেম (৫৫), জামায়াত নেতা মফিজুর রহমান (৩২), ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ (৬০) কে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এরপর দূর্বত্তরা সারুটিয়া গ্রামের ভাসমান কফি হাউজটি ব্যাপক ভাংচুর করে তাতেও আগুন ধরিয়ে দেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় মায়িশা মৎস্য গুদামের মালিক সুফলাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান এস এম মুনজুর রহমান বাদী হয়ে টিপু বিশ্বাস, শফিকুল ইসলাম টুকু, মহির উদ্দিন গাজী, রাসেল গাজী, শাহীনুর বিশ্বাস, শিমুল সরদার, তহিদুল, সাইদুল সরদার, জাকির সরদার, শরিফুল ইসলাম, ইয়াসিন, বাবলু সরদার, কামরুল মোড়লসহ ৬০/৭০ জনের বিরুদ্বে কেশবপুর থানায় অভিযাগ দায়ের করেছেন। কফি হাউজ ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মালিক রাজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে অপর একটি অভিযাগ করেছেন ।
এ ব্যপারে থানার ওসি তদন্ত শরিফুল ইসলাম জানান, অভিযাগ পেয়েছি। এখনো মামলা বা কাউকে গ্রেপতার করা হয়নি। মিমলা নিয়ে তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাফরান