বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে ডাক বিভাগের মাধ্যমে খোলা চিঠির মাধ্যমে আবেদন করেছেন কলাপাড়ার অন্তত আট শ’ ব্যক্তি। এর মধ্যে রয়েছে পায়রা বন্দর, তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের যথাযথ ক্ষতিপুরণ, পুনর্বাসন, কর্মসংস্থানে সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন।
কলাপাড়া পরিবেশ ও জনসুরক্ষা মঞ্চ এবং বরিশাল বিভাগীয় পরিবেশ ও জনসুরক্ষা ফোরামের উদ্যোগে রবিবার খেপুপাড়া পোস্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি প্রেরণ করা হয়।
এরা সবাই কৃষক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। এদের মতে এটি পোস্টকার্ড প্রেরণ কর্মসূচি। খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, কলাপাড়া উপজেলার টিয়াখালী, ধানখালী, লালুয়া ও চম্পাপুর ইউনিয়নে পায়রা বন্দরসহ তিনটি বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এজন্য তিন ফসলী কৃষিজমিসহ মোট দশ হাজার ২০৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহনের সময় তৎকালীন সরকার বলেছিল, জমির ন্যায্যমূল্য দেয়া হবে। প্রত্যেকটি মানুষকে ক্ষতিপুরণ দেওয়া হবে। উচ্ছেদ হওয়া পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে। প্রকল্পে কাজ দেওয়া হবে। বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। প্রতিশ্রুতির কিছু কিছু বাস্তবায়ন হলেও অধিকাংশের বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জমিহারা পরিবারগুলো আজ মানবেতরভাবে জীবন-যাপন করছেন। তাই স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর
জীবনমান উন্নয়নে দাবি সংবলিত এই চিঠিতে প্রধান উপদেষ্টার সদয় পদক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। লোন্দা গ্রামের বাসীন্দা হালিমা আয়শাও একটি খোলা চিঠি ডাকযোগে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ইচ্ছা করলেই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছে তৃণমূলের সমস্যা সমাধানের খবর পৌছাতে পারি না। তাই আমাদের দাবিগুলো পুরনের জন্য ডাকযোগে পাঠালাম।’
এ জন্য তাদের অন্তত এক মাস সময় লেগেছে।
এমএম