ভিটিকান্দি ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম।
দৈনিক জনকন্ঠ পত্রিকায় "তিতাসে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ইট লুটের অভিযোগ" সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে সেই ইট ভাটার ইট লুট করে পাচারকালে ট্রাকসহ আটক হয়ে জনতার রোষানলে পড়েছেন উপজেলা ভিটিকান্দি ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলা ভিটিকান্দি ইউনিয়ন জগতপুরস্থ ন্যাশনাল ইটভাটা থেকে একটি ডিস্ট্রিকট্রাক ভর্তি ইট পাচারকালে নারান্দিয়া ইউনিয়ন আসমানিয়া বাজারস্থ বাতাকান্দি-রায়পুর সড়কে আটক করে স্থানীয় লোকজন।
ট্রাক আটকের খবর শুনে বিল পরিশোধের একটি ভুয়া রিসিট নিয়ে ন্যাশনাল ইটভাটা থেকে ক্রয় করেছেন বলে দাবি করলে এ সময় সাইফুল মেম্বারকে হেনস্তা করে বাজারের একটি চাল দোকানে আটকে রাখেন বিক্ষুব্ধ জনতা।
এছাড়া নানা কৌশলে উপজেলা বিভিন্ন রাস্তায় পাচারকালে জব্দ করা হয় ৫/৬ টি আরও ইট বোঝাই হাইড্রলিক ট্রাক্টর। চক্রটি এভাবেই গত ১০দিন যাবৎ প্রায় ১কোটি টাকার ইট লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ ইট ভাটা পার্টনারদের।বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার চাউর উঠেছে।
ইটভাটার একাংশের মালিক জামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ব্রিকফিল্ডটি চালুকালে আবুল হোসেন মোল্লার সাথে আমি ও নজরুল ইসলাম পার্টনারে আছি। কিন্তু ৫ আগস্ট আ'লীগ সরকার পতনের পর আবুল হোসেন মোল্লা পালিয়ে গেলে ইটভাটা পার্টনারদের মধ্যে শুরু হয় পাওনা টাকার নিয়ে নানা দেন দরবার।
শুরুতে আমি ২০ লাখ টাকা দিয়ে পার্টনার হয়েছি। যার লভ্যাংশ আমি এখনো পাওনা ৭৫ লাখ টাকা।কিন্তু টাকার হিসাব নিকাশ শেষ না হতেই গত ১০ দিন যাবৎ স্থানীয় ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা শামসুল হক মোল্লারা বহিরাগত লোকজন নিয়ে এসে ইট গুলো লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। আজকেও সাইফুল মেম্বার ও তার লোকজন এসে ট্রাকে করে ইটগুলো পাচারকালে জনতার হতে ধরা পড়ল।
এ বিষয়ে সাইফুল ইসলাম মেম্বার বলেন,আমি শামসুল হক মোল্লার কাছ থেকে ইট ক্রয় করে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে এ এলাকার লোকজন ইট ভর্তি ট্রাক আটকে দিয়েছে। কিন্তু কেন তা জানিনা।
তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে প্রতিদিন পুলিশ পাঠাচ্ছি। কিন্তু চলে আসার পর তারা পুনরায় সে কাজটি করছে।
রিয়াদ