.
সিএনজি চালকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বকশীগঞ্জ-জামালপুর মহাসড়কে ৫ দিন ধরে সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগের শিকার ওই রুটের যাত্রীরা। জামালপুর জেলা সদরের সঙ্গে বকশীগঞ্জ উপজেলা এবং কুড়িগ্রাম জেলার রাজিবপুর ও রৌমারী উপজেলার সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সিএনজির বিকল্প অন্য কোনো যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকার ফলে দুর্ভোগ নিয়েই বাড়তি ভাড়া দিয়ে অটোরিক্সাযোগে চলাচল করতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫ দিন আগে জামালপুর থেকে রৌমারীগামী সিএনজির আজাদ নামের এক চালককে মারধর করে জামালপুর সিএনজি স্টেশনের কয়েক চালক।
ওই ঘটনার পর থেকেই জামালপুরের সিএনজি চালকরা বকশীগঞ্জ ও রৌমারী থেকে কোনো সিএনজি জামালপুরে ঢুকতে দিচ্ছে না। এ কারণে ৫ দিন ধরে জামালপুর-বকশীগঞ্জ মহাসড়কে সিএনজি চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় বকশীগঞ্জ থেকে জামালপুর জেলায় চলাচলকারী ১৪০টি সিএনজি চালক বেকার। অপরদিকে সিএনজি চলাচল বন্ধ থাকায় জামালপুর ও বকশীগঞ্জগামী উত্তর সীমান্তে চলাচলকারী যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যাত্রীরা সিএনজিতে গন্তব্যস্থলে যেতে না পেরে অটোরিক্সা ও ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে নিজ গন্তব্যে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হচ্ছে। জামালপুর- বকশীগঞ্জগামী ওই মহাসড়কে দ্রুত সিএনজি চলাচলের দাবি জানান সিএনজি চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। শত শত যাত্রী অভিযোগ করে জানান, সিএনজি চলাচল না করায় জামালপুর জেলা সদরের বিভিন্ন অফিসের কাজ কিংবা আদালতে মামলার প্রয়োজনে বেশি টাকা খরচ করে বিকল্প ব্যবস্থায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে করে দুর্ভোগের পাশাপাশি সময়ও ক্ষেপণ হচ্ছে।
বকশীগঞ্জের সিএনজি নিয়ন্ত্রণকারী মাস্টার পপুলার মিয়া জানান, এই ঘটনার দ্রুত সমাধান না হলে যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাই জনস্বার্থে প্রশাসনের এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলের অনুমোদন না থাকলেও জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে চালকদের মধ্যে সমঝোতা হওয়া উচিত।