১৬ নভেম্বর -এ উপজেলা পরিষদের এক মাঠেই শোভা পাচ্ছে দুই ‘শহীদ মিনারথ। এখানে আগের একটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থাকলেও প্রায় ৫০ গজ দূরত্বে আরও একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। যেটি বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের হাতে উদ্বোধণ করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন বলছেন, এক মাঠে দুটি শহীদ মিনার থাকা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি নেই। এটি এ পর্যন্ত শহীদ সবাইকে স্মরণ করতে নির্মাণ করা হয়েছে। আর পুরনো শহীদ মিনারটি ভাঙ্গার বিষয়ে স্থানীয় নাগরিকদের পরামর্শ চাওয়া হবে।তবে, উপজেলার অনেক বাসিন্দা ও বিশিষ্টজনেরা উপজেলা প্রশাসনের এমন বক্তব্যের সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন- এমনটা কোনভাবেই হতে পারে না। এতে সমন্বহীনতা, রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় যেমন হয়েছে তেমনি ভাষা শহীদদের সাথেও অবজ্ঞা করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলা চত্বরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ৫০ গজের মধ্যে আরেকটি নতুন শহীদ মিনার। লোকজন বলছেন যদিও দুটি শহীদ মিনারের কোন প্রয়োজন ছিলনা। এভাবে বিনা পরিকল্পনায় শহীদ মিনার স্থাপন করায় অনেকই ক্ষুদ্ধ ও ব্যতিত। এটি শহীদদের সাথে অবজ্ঞা ও অবমাননা করা হয়েছে বলে তাদের দাবী।¯’ানীয় বাসিন্দা ও সংস্কৃতিকর্মীরা নাম প্রকাশ না করে বলেন, এটা খুবই দুঃখজনক। একটি চত্বরের ভেতরে দুইটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা কোনো ভাবেই ঠিক হয়নি। এটি করার আগে বিষয়টি গভীরভাবে বিবেচনা করা উচিত ছিল। সবার মতামত নেওয়া উচিৎ ছিল। এর ফলে আমরা অনেকেই অনেক কষ্ট পাচ্ছি। যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা ভাষা, স্বাধীনতা এবং দেশ পেয়েছি। তাদের প্রতি এটা চরম অবজ্ঞা ও অসম্মান।
থসুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চট্টগ্রামের সভাপতি সিকান্দার খাঁন বলেন, ‘এক জায়গায় দুইটি শহীদ মিনার করার কোন দরকার পড়ে না। এটি শহীদদের প্রতি অশ্রদ্ধা হতে পারে। তাছাড়া রাস্ট্রের অর্থের অপচয় এবং প্রশাসনের সমন্বয়হীনতাও থাকতে পারে। সকল শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধার ঘাটতি থাকলেই এ ধরনের কাজ সম্ভব।
থউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘এক মাঠে দুটি শহীদ মিনার থাকা নিয়ে কারও কোনো আপত্তি নেই। এটা মূলত ৭১, ৫২ এবং সর্বশেষ ২৪ এর সকল শহীদদের উদ্দেশ্যে তৈরী করা হয়েছে। পুরনো শহীদ মিনারটি ভাঙ্গার
বিষয়ে নাগরিকদের পরামর্শের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।