ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবি আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের

মামুন-অর-রশিদ

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ১৬ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৫:৫০, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবি আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের

সকল ক্যাডারের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করে পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন আন্ত:ক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ।
শনিবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে বিভাগীয় সম্মেলনে এ দাবি জানান রাজশাহী বিভাগীয় বৈষম্য নিরসন পরিষদ। সম্মেলনে প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্যান্য ২৫টি দফতরের ক্যাডারের বিভিন্ন ব্যাচের অন্তত ৭০০ কর্মকর্তা অংশ নেন। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে তাদের দাবি পুরন করা না হলে রাজধানীতে বড় ধরনের জমায়েতের হুশিয়ারি দেওয়া হয়।
রাজশাহী বিভাগীয় আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমস্বয়ক গণপূর্ত ক্যাডারের এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল গোফফারের সভাপতিত্ব অন্যদের মধ্যে সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক ১৮তম বিসিএস গণপূর্ত ক্যাডারের জামিলুর রহমান, ২৪ তম বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের ড. মফিজুর রহমান, ২৭ তম বিসিএসের সমবায় ক্যাডারের নূর ই জান্নাত, রাজশাহী বিভাগের অন্যতম সমন্বয়ক ১৪ তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারের  প্রফেসর ড. ইব্রাহীম আলী, ১৩ তম পোস্টাল ক্যাডারের কাজী আসাদুল ইসলাম ও ২৮ তম তথ্য ক্যাডারের মুনিরুল হাসান।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগের সকল জেলার আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়করা বক্তব্য রাখেন। বিভাগ পর্যায়ের সম্মেলন শেষে তিনমাসের মধ্যে ঢাকায় ক্যাডারদের মহাসমাবেশ করে দাবি আদায় করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
সম্মেলনে সরকারের উপসচিব ও তদুর্ধ্ব পদের জন্য ‘কোটা পদ্ধতি’ বাতিল করে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে কর্মকর্তা নিয়োগের দাবি জানিয়ে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় গঠন অর্থাৎ ‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ এবং পক্ষপাতদুষ্ট জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন পুনর্গঠন করাসহ বেশ কিছু দাবি ও সুপারিশ তুলে ধারা হয়।
সম্মেলনে লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মোস্তফা নাসিবুল আযম বাপ্পী। তিনি বলেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী হলেও সংবিধান লঙ্ঘন করে প্রশাসন ক্যাডার উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে কোটা পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে অন্যান্য ক্যাডার সদস্যদের সাংবিধানিক অধিকার অনৈতিকভাবে হরণ করে চলছে।
অধ্যাপক মোস্তফা নাসিবুল আযম বলেন, বিভিন্ন সেক্টরে যারা বিশেষজ্ঞ, তাদেরকে দমিয়ে রেখে প্রশাসন ক্যাডার সকল মন্ত্রণালয় দখল করে রেখেছে। এতে অন্যান্য ক্যাডারের সদস্যদের কাজের স্পৃহা ও অনুপ্রেরণা নষ্ট হচ্ছে। তাছাড়া, একটি ক্যাডারের সাথে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় অন্য ক্যাডারের দ্বারা পরিচালিত হলে, সেই সেক্টর সম্পর্কে তেমন কোনো জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা না থাকায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও পলিসি তৈরি করতে ব্যর্থ হয়।
সম্মেলন উপস্থাপনা করেন, তথ্য ক্যাডার কর্মকর্তা মুনিরুল হাসান ও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তা নূরজাহান বেগম।

নাহিদা

×