জমি নিয়ে বিরোধ
পুলিন চন্দ্র হাওলাদারসহ চারটি হিন্দু পরিবারের তিন একর ৭১ শতক জমি নিয়ে আরেক হিন্দু পরিবার খোকন মন্ডলের বিরোধ সংক্রান্ত ঘটনার সমাধান করতে গিয়ে বিপাকে পড়েছি। এখানে জমি লিখে নেওয়ার জন্য হুমকি, মারধরের কোন ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। খোকনের পরিবারকে দেশ ছাড়তে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, কাল্পনিক। মূলত দুই পক্ষকে নিয়ে স্থায়ী সমাধানের জন্য নীলগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শহীদ মাতুব্বরের উদ্যোগে এক সালিশে উভয় পরিবারের শান্তি রক্ষায় বিরোধীয় জমি তৃতীয় পক্ষকে চাষাবাদ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এর বাইরে কিছুই নয়। শনিবার বেলা ১১টায় কলাপাড়া প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার তৌহীদুর রহমান মিলনায়তনে কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করেন।
পুলিণ চন্দ্র ও তার যৌথ স্বাক্ষরিত লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, নীলগঞ্জ মৌজায় পিএস ১০৮ নম্বর খতিয়ানের সাত একর ৪১ শতক জমির মালিক পুলিন চন্দ্রের বাবা পূর্ণ চন্দ্র গং। কিন্তু আরএস খতিয়ানে ভুলবশত তিন একর ৭০ শতক জমি পরেশ চন্দ্র মন্ডলের নামে রেকর্ড হয়। যা পরবর্তীদে না-দাবীপত্র দলিলে ভূমি দাবি প্রত্যাহার করে নেন। কিন্তু বিএস জরীপে ৩৬ শতক জমি ছাড়া বাকি জমি খ তফশিলে অন্তর্ভুক্ত হয়। যা নিয়ে মামলা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ১/১ খতিয়ান থেকে পুলিন চন্দ্র রেকর্ড করার জন্য কলাপাড়া ভূমি অফিসে ৪৯/২৩ মিস কেচ দায়ের করেন। তখন নীলগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশিলদার) গোলাম মোস্তফাকে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। পুলিন জানান, প্রতিবেদন দিতে তহশিলদার তার কাছে এক লাখ টাকা উৎকোচ দাবি করেন। তিনি ২০ হাজার টাকা দেন। বাকি টাকা না দেওয়ায় খোকন মন্ডলের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে মিথ্যা প্রতিবেদন দেয়।
পুলিন চন্দ্র জানান, বর্তমান বছরে আমরা পাঁচ বিঘা জমি চাষাবাদ করতে পারিনি। আউশ ধানও কেটে নিয়ে গেছে। বর্তমানে উল্টো খোকন মন্ডলসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আমরা তটস্থ। তার দাবি, হাফিজুর রহমান আমাদের পাশে দাঁড়ালে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেন। এব্যাপারে ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। সত্য প্রতিবেদন দেওয়ায় ওনারা ক্ষুব্ধ হয়ে এসব বলছেন। প্রতিপক্ষ খোকনচন্দ্র মন্ডল বলেন, ‘আমার জমির মালিকানার সকল কাগজপত্র ঠিক রয়েছে। খাজনা পর্যন্ত পরিশোধ করা হয়েছে। বিএস পর্যন্ত রেকর্ড আছে। আর আমাকে ডেকে নিয়ে হুমকি-ধামকিও দেওয়া হয়েছে। আমি বিএনপি করেও আজ অসহায় হয়ে আছি বলেও দাবি করেন খোকন। তিনি মিথ্যা কিছু বলেননি।
আর কে