স্বামীকে তালাকের পর প্রেমিককে বিবাহ করে মাহিয়া।
প্রেমিকার স্বামীকে তার বিয়ে করার খরচ বাবদ লাখ টাকা নগদ দিয়ে প্রেমিকাকে স্ত্রী বানালো প্রবাসী প্রেমিক। বেকার থাকাবস্থায় ৯ অক্টোবর টঙ্গীবাড়ি উপজেলার ভিটি মালধা গ্রামের ইদ্রিস আলী শেখের ছেলে সুমন শেখের প্রেমিকা মাহিয়া আক্তারের বিবাহ হয়ে যায়।
বিয়ের পরও প্রেমিক-প্রেমিকা তাদের সম্পর্ক চালিয়ে যান। ধার দেনা করে হংকং গিয়ে প্রেমিকা একই গ্রামের মোবারক সৈয়ালের মেয়ে মাহিয়া আক্তারকে তার শ্বশুর বাড়ি জেলার সদর থানা মুন্সীগঞ্জের মধ্য মহাখালী গ্রামের জয়নাল দেওয়ানের ছেলে শরীফ দেওয়ানের বাড়ি থেকে মাহিয়ার পরামর্শেই অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে মাহিয়ার স্বামী ও মায়ের চেষ্টায় মাহিকে উদ্ধার করা হলেও মাহিয়া তার স্বামীর সাথে সংসার করবে না বলে জানান।
প্রেমিকাকে তুলে নেয়া সুমন প্রেমিকার স্বামীকে লাখ টাকা বিয়ের খরচ বাবদ জরিমানা দিয়ে ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রেমিকার স্বামীকে তালাক দেওয়ান। পরবর্তীতে পিতার জিম্মায় মোবাইল ফোনে ৪ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ করে প্রেমিকাকে স্ত্রী বানানি বাড়িতে নিয়ে যান।
হংকং থেকে মোবাইলে সুমন শেখ জানান, যত টাকা দেনমোহর লাগুক আমি মাহিয়াকে বিয়ে করব। ৪ লাখ কেন ৬ লাখ টাকা দেনমোহর দিয়ে হলেও বিবাহ করবো।
সুমনের পিতা ইদ্রিস শেখ জানান, ছেলে পছন্দ করে বিয়ে করছে আমি খুশি। ছেলে বিদেশ থাকে বউ বাড়ি নিতে বলছে আমি নিয়ে যাচ্ছি।
স্ত্রীকে খোলা তালাক দিয়ে শরীফ দেওয়ান জানান, আমার সংসারে এক দিনের জন্যও সুখ ছিল না। বউ পালিয়ে গিয়ে আমাকে বিপদে ফেলছিল আল্লাহ বড় বিপদ থেকে বাঁচালো। আমি শনিবার সকালেই মাহিয়ার বাপের বাড়ি থেকে দেয়া ফার্নিচার ফেরত পাঠিয়ে দিব।
এসআর