ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

যানজটে দুর্ভোগ

ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল ২১ বছর ধরে পরিত্যক্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও

প্রকাশিত: ২০:৩০, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল ২১ বছর ধরে পরিত্যক্ত

বাস টার্মিনাল পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় সড়কে পার্কিং

কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনার কারণে ২০ বছর আগে উদ্বোধনের পর থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি, আর তখন থেকেই ভবনে ঝুলছে তালা। যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। শহরের যানজট কমানোসহ বাস যাত্রীদের সুবিধার্থে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা ঠাকুরগাঁও জেলা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ঘটা করে উদ্বোধনও হয়। এরপর ২১ বছর  পার হলেও এখন পর্যন্ত যাত্রীদের কোনো কাজেই আসছে না তৎকালীন দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাস টার্মিনালটি। এদিকে দীর্ঘদিন থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় এখন তা হয়ে পড়েছে প্রায় ব্যবহার অনুপযোগী। এর জন্য কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। 

ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের পাশে ৫ বিঘা জমির ওপর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে বাস টার্মিনালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। তৎকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এ টার্মিনালের উদ্বোধন করেছিলেন। এরপর আর ব্যবহার করা হয়নি এটি। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা মহাসড়কের পাশেই অস্থায়ী কাউন্টার বসিয়ে বিক্রি করছেন বিভিন্ন রুটের বাসের টিকিট। অথচ টার্মিনালটিতে টিকিট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, শপিংস্টোর ও বসার ব্যবস্থাসহ সাধারণ যাত্রীদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা রয়েছে। এত সুবিধা থাকার পরও যাত্রীদের রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে বাসে ওঠানামা করতে হচ্ছে। মহাসড়কের পাশে যত্রতত্র বাস দাঁড় করিয়ে রাখায় যানজটের পাশাপাশি ঘটছে দুর্ঘটনা। অন্যদিকে দীর্ঘদিন ধরে টার্মিনালটি ব্যবহার না হওয়ায় ভবনের ভেতর নেশাখোর ও ভবঘুরেদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে।
এ অবস্থায় শীঘ্রই টার্মিনাল সংস্কার করে তা চালুর দাবি যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।  সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি দ্রুত চালু করতে বাস মালিক ও পৌরসভার সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা চাই যেন এর যথাযথ ব্যবহার হয়। সাধারণ মানুষ যেন সেবা পায় সে বিষয়ে আমরা কাজ করব।’

×