ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের যাত্রীবাহী বাসের ভাড়া ৫৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৫ টাকা করার দাবিতে মশাল মিছিল করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মশাল মিছিলটি শুরু করে বঙ্গবন্ধু সড়ক ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল প্রদক্ষিণের পর কালীরবাজার হয়ে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়। মশাল মিছিল থেকে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা রুটে বাস ভাড়া ৪৫ টাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে সকল রুটে সিএনজি চালিত বাসের ভাড়া কমানো, ছাত্রদের অর্ধেক ভাড়া কার্যকর এবং এসি বাসের ভাড়া বিআরটিসি ৬০ টাকা ও বেসরকারী ৬৫ টাকা করতে হবে। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে ১৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ শহরে অর্ধদিবস সর্বাত্মক হরতাল পালিত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহবায়ক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এ্যাডভোকেট এবি সিদ্দিক ও বাসদের জেলা সদস্য সচিব আবু নাইম খান বিপ্লব প্রমূখ।
এর আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণ ফোরামের আহবায়ক রফিউর রাব্বি জানায়, গত ৫ আগস্টের পর গডফাদাররা পালিয়ে গেলে তাদের রেখে যাওয়া উচ্ছিষ্টের জন্য বাস মালিক নামধারী চাঁদাবাজরা পরিবহন সেক্টরকে জিম্মি করে রেখেছে। আগামি ১৫ নভেম্বরের মধ্যে যৌক্তিক দাবী ৫৫ টাকা থেকে কমিয়ে ৪৫ টাকা ও এসি বাসের ভাড়া বিআরটিসি ৬০ টাকা ও বেসরকারী ৬৫ টাকা করা না হলে ১৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে অর্ধবেলা হরতাল কর্মসুচি পালন করা হবে। গত ২৬ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রফিউর রাব্বি জানিয়েছিলেন, ২০১১ সালে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে ২২ টাকা থেকে ৩২ টাকা বৃদ্ধির পর আন্দোলন শুরু হয়। এর কিছু আগে বন্ধন পরিবহনের মালিকপক্ষ র্যাবকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলো শামীম ওসমান পরিবহন থেকে চাঁদা নেয়। উল্লেখ, ঢাকা-নারায়নগঞ্জ রোডে সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৭ কিলোমিটারের ভাড়া দীর্ঘ দিন যাবৎ যাত্রীদের কাছ থেকে ৫৫ টাকা আদায় করছে বাস মালিকরা। এ রুটে প্রতিদিন ৬০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সরকার পর্যায় ক্রমে ডিজেলের দাম কমানোর পরও বিআরটিএ এবং প্রশাসন এই রুটে ভাড়া সমন্বয় করছে না।
রাজু