দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যতিক্রমী বাজার চালু করেছে জেলা প্রশাসন। কৃষক ও ক্রেতাদের মেল বন্ধনের উদ্দেশ্যে মানবতার সওদাপাতি বিক্রির লক্ষ্যে চালু করেছে কৃষকের বাজার।
যেখানে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্য সরাসরি বিক্রি করতে পারছেন। এতে একদিকে যেমন খুশি হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা অপরদিকে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। মধ্যস্বতভোগী না থাকায় ন্যায্য দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্বয়কদের যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার সকাল ৮টায় শহরের সাধারণ পাঠাগার মাঠ চত্বরে মানবতার সওদাপাতি নিয়ে বসে কৃষকের বাজার নামে অস্থায়ী এ বাজার। সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ বাজার চলবে মধ্য দুপুর পর্যন্ত।
শুক্রবার প্রথম দিন দেখা যায়, এ বাজারে নিজেদের উৎপাদিত লাউ, শিম, মুলা, বরবটি, আলু, কাঁচামরিচসহ অন্যান্য কাঁচা সবজির পসড়া নিয়ে বসেছেন কৃষক। তাতে ক্রেতাদেরও উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। প্রতিটি পণ্যে সাধারণ বাজারের চেয়ে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা কমে পেয়ে খুশি ক্রেতারা।
বাজারে পলিথিন মুক্ত কেনাকাটা করতে ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে এ বাজারের আরেকটি বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে, যেখানে বিনামূল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব ভুট্টার আঁশে তৈরি বিশেষ ব্যাগ ও পাটের ব্যাগ। এ ছাড়াও শুধু কাঁচা সবজিই নয়, এ বাজারে পাওয়া যায় মাছ-মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যই।
জেলা প্রশাসক ইসরাত ফারজানা জানান, কৃষকের বাজার মূলত হলিডে মার্কেটের মতো। ছুটির দিনে সুলভ মূল্যে ক্রেতাদের ক্রয় করা এবং কৃষক সরাসরি নিজেই বিক্রেতা হয়ে ন্যায্য মূল্য পাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই বাজারটি চালু করা। ভোক্তারা চাইলে এ বাজারকে আরও বড় পরিসরে আয়োজন করার কথা ভাবতে পারি।