আটক ইউপি চেয়ারম্যান উম্মে রুমা
ফেনীর সোনাগাজীতে উম্মে রুমা নামে ইউপি চেয়ারম্যানকে আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ। তিনি সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নারী বিষয়ক সম্পাদক।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ তাকে আটকের পর ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, চেয়ারম্যান উম্মে রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসানের সাথে দেখা করতে তার কার্যালয়ে যান। এ সময় সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ ইউএনওর কার্যালয়ে প্রবেশ করে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান উম্মে রুমা সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। প্রভাবশালী এই আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ফেনীর সাবেক এমপি নিজাম হাজারী প্রশ্রয়ে এলাকায় যথেষ্ঠ অপকর্ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রফিক পালিয়ে গেলেও উম্মে রুমা নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। গত ৪ আগস্ট ফেনীতে ১২ জন শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় রফিকের বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা হলেও উম্মে রুমাকে কোনো মামলায় আসামি করা হয়নি।
সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, চেয়ারম্যান উম্মে রুমা আমার কার্যালয়ে এসেছেন। তিনি আমার সাথে কথা বলতে চাইলে কাজ থাকায় অপেক্ষা করতে বলি। পরে তিনি বাহিরে গেলে শুনেছি পুলিশ তাকে আটক করেছে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বলেন,গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। সোনাগাজী থানায় তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা না থাকায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফেনী মডেল থানায় হস্তান্তর করি।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিং মারমা বলেন, ছাত্র হত্যা মামলার তদন্তে চেয়ারম্যান উম্মে রুমার সম্পৃক্ততা প্রমাণ পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ দিকে ফেনী মডেল থানা সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন বাহারকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ছাত্র হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া ৮টি হত্যা মামলার এজহারভুক্ত আসামি।
একই দিন জেলা যুবলীগের সদস্য এখলাশ উদ্দিন খন্দকারকে ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খন্দকারের ভাই।
শহিদ