ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

কুয়াকাটায় পর্যটকরা আতঙ্কিত

শ্রমিকদল সেক্রেটারির নেতৃত্বে বিএনপি নেতার আবাসিক হোটেলে হামলা

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী

প্রকাশিত: ২০:৪৬, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

শ্রমিকদল সেক্রেটারির নেতৃত্বে বিএনপি নেতার আবাসিক হোটেলে হামলা

কুয়াকাটায় বিএনপি নেতা মান্নান চৌধুরীর সাগর নামের আবাসিক হোটেলে কুয়াকাটা পৌর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জলিল চুকানী ও তার লোকজনের নেতৃত্বে হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র্র করে এমন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বুধবার রাত আটটার দিকে কুয়াকাটা মহাসড়ক লাগোয়া আবাসিক হোটেল সাগরে এ ঘটনা ঘটে। এসময় হোটেলে থাকা পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে পৌর বিএনপির সদস্য শিরু মোল্লার ওপর হামলা চালায় শ্রমিক দলের জলিল চুকানীসহ তার লোকজন। এসময় বিএনপির আরেক কর্মী বাইজিদ  খানকেও বেধড়ক মারধর করা হয়।  
এ ঘটনা সমাধানের জন্য সালিশে সময় নির্ধারণ করে কুয়াকাটা পৌর  বিএনপি। কিন্তু সালিশে শ্রমিক দলের কেউ উপস্থিত হয়নি। পরক্ষণেই জলিল চুকানীর সঙ্গে দেখা হয় সকলের। সালিশে উপস্থিত না হওয়ার কারণ নিয়ে তার সঙ্গে বাকবিতন্ডা, হট্টগোল হয়। তোপের মুখে  শটকে পড়েন জলিল। উল্টো ২০ মিনিট পরে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি মোটরসাইকেল বহর নিয়ে হোটেল সাগরে হামলা চালায়। এ সময় হোটেলে থাকা পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

অভিযুক্ত জলিল চুকানী বলেন, আমি অন্য কাজের জন্য সালিশে যেতে পারি নাই। এই কথা বলার জন্য ওখানে যাই। তখন মান্নান ডাক্তারসহ তার সহযোগিরা আমার ওপর হামলা চালায়। মারধর করে। বিএনপি নেতাদের সামনে এমন হামলা চালায়। আমার নামে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। কুয়াকাটা পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ মুসল্লী জানান, হ্যান্ডলিং শ্রমিকদের একটি বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকে হাতাহাতি হয়েছে। বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।

মহিপুর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, একটি ঘটনার খবর পেয়ে সাথে সাথে ফোর্স পাঠাই এবং পরিবেশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হই। হোটেল সাগরে  হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

রাজু

×