ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির ছত্রাকনাশক (নিউজিমপাউডার) স্প্রে করে ফুলকপি পচে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের ক্ষতিপূরণ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি। ক্ষতিপূরণ পেয়ে নতুন করে ফসল ফলানোর স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে চাষীদের ক্ষতিপূরণ বাবদ নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা পারভীন লাবনী, অতিরিক্ত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, ব্লেসিং গ্রুপের হেড অব বিজনেস আল আমিন, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোজাম্মেল হোসেন ও রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার জহুরুল হক।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের বিষয়টি আমলে নিয়ে ১৩ জন চাষীকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির পক্ষ থেকে ১৪ লাখ ২১ হাজার ৭০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। আশাকরি চাষিরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন এবং পুনরায় চাষাবাদ করতে পারবেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা পারভীন লাবনী বলেন, কৃষকদের অভিযোগ পেয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এমনকি নিউজিম পাউডার অপর একটি ফুলকপি ক্ষেতে স্প্রে করে দেখা হয়। তাতে নিউজিম পাউডারের মান ত্রুটিপূর্ণ মনে হয়েছে। বিষয়টি ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির লোকজনকে জানালে তারা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আশ্বাস দেন।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষি শফিকুল ইসলাম বলেন, ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির ছত্রাকনাশক (নিউজিম পাউডার) কিনে ফুলকপিতে স্প্রে করেছিলাম। পরে পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে ক্ষেতেই ফুলকপি পচে নষ্ট হয়ে যায়। উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের তড়িৎ ব্যবস্থাপনার ক্ষতিপূরণ পেয়েছি। এতে করে আমরা পুণরায় চাষাবাদ করতে পারবো।
ব্লেসিং এগ্রোভেট ইন্ডাস্ট্রিজ কোম্পানির ছত্রাকনাশক (নিউজিম পাউডার) স্প্রে করে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার চুনিয়াপাড়া এলাকার ১৩ জন চাষির প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে থাকা ফুলকপি পচে নষ্ট হয়ে যায়। ঘটনার পর লিখিত অভিযোগ করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষীরা।
এসআর