পুলিশের সামনেই থানার হাজতে অর্থ লেনদেন।
পুলিশের সামনেই থানার হাজতে বসে প্রকাশ্যে অর্থ লেনদেন! লাখ টাকার বান্ডেল গুনে দিচ্ছেন আসামি!আর এই ঘটানটি ঘটেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী পূর্ব থানায়। এমনি একটি ভিডিও এসেছে বেসরকারি টিভি চ্যানেলের হাতে।
ভিডিও থেকে জানা যায়, হাজতের ভেতর থাকা ব্যক্তি স্থানীয় ব্যবসায়ী টুটুল সরকার। যিনি ওইদিনই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। আর যিনি টাকা নিচ্ছিলেন তিনি চাঁদাবাজি মামলার বাদি আরিফুর রহমান। তিনি মামলাটি করেছেন সেখানকার ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের পক্ষে।
জানা যায়, সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে টুটুলকে গ্রেপ্তারের পর হস্তান্তর করা হয় থানায়। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক মামলা ছিল বলে জানায় পুলিশ। তবে ওই রাতে ব্যবসায়ী মহিউদ্দিনের পক্ষে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। যেখানে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ করা হয়।
এদিকে টুটুলের দাবি, পুলিশ ও বাদির যোগসাজশে জোরপূর্বক তাকে আটকে রেখে টাকা আদায় করা হয়েছে। আর ঘটনার দিন তার আইনজীবীকেও থানা হাজতে ঢোকানো হয়।
ব্যবসায়ী টুটুল সরকার বলেন, ‘আমরা ১৬ লাখ টাকা দিয়েছি ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন ও আরিফকে। পরে বলা আরো তিন লাখ টাকা দিতে হবে পুলিশকে।’
টুটুল সরকারের আইনজীবী ইব্রাহিম হোসেন বলেন, ‘হাজতখানায় আমার মক্কেলের কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে তারা টাকা নিয়েছে। এর আগে আমি কখনই ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন ও আরিফকে দেখিনি।’
অপরদিকে মহিউদ্দিনের দাবি, ব্যবস্যায়ীক পাওনা টাকা উদ্ধার করেছেন তিনি। পুলিশকে ব্যবহার করে টাকা উদ্ধারের বিষয়ে অস্বীকার করেন তিনি। বলেন, ওনার সঙ্গে আমার ব্যবসায়ীক লেনদেন ছিল। ওনি নিজেই আমার টাকা পরিশোধ করেছেন। নিজের লোক দিয়েই ভিডিও ধারণ করেছেন।
আসামি ও বাদির টাকা লেনদেনের বিষয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) জানান, কিছুই জানেন না তিনি। তবে দায়িত্বে গাফিলতিতে একজন কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এম হাসান