হালুয়াঘাটে বাড়ির আঙিনায় পরিচালিত হচ্ছে পার্টনার ফিল্ড স্কুলের কার্যক্রম। বই-খাতা নিয়ে এসব স্কুলে পড়ছে গ্রামাঞ্চলের প্রান্তিক কৃষক-কৃষাণীরা।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে পরিচালিত প্রতিটি স্কুলে ১০ জন নারী ও ১৫ জন পুরুষ মোট ২৫ জন কৃষক-কৃষাণী সপ্তাহে একদিন করে ১০টি সেশনে ক্লাস করেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার ও এসএপিপিও সহায়তাকারী হিসেবে এবং সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আয়োজনকারী হিসেবে এ স্কুলের সেশন স্কুল পরিচালনা করেন। প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এন্ড রুরাল ট্রান্সফার সেশন ফর নিউট্রিকশন এন্টারপ্রেনরশিপ অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় এই স্কুল গুলো পরিচালিত হচ্ছে।
উপজেলার গাজিরভিটা ইউনিয়নের আনচিংড়ি গ্রামে ১৫ জন পুরুষ ও ১০ জন নারীসহ ২৫ জন কৃষক কৃষাণি নিমগ্ন হয়ে শুনছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এ.বি.এম লুৎফর রহমান নয়নের কথা। স্কুলে আসা নানা বয়সের এসব নারীরা কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সবাই এখানে স্কুলছাত্রী। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,চেয়ার-টেবিল ছাড়া এ স্কুলে শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে কীভাবে আধুনিক উপায়ে রোপা আমন ধান চাষ করা যায়। তার রোগ ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা, সার ও পানি ব্যবস্থাপনা, উপকারী-অপকারী পোকা সম্পর্কে মোট কথা বীজ হতে পুনরায় বীজ প্রাপ্তিতে যত আধুনিক উপায় আছে সবকিছু হাতে কলমে শেখানো হচ্ছে।
পার্টনার ফিল্ড স্কুলের ছাত্র কৃষকরা বলেন,এ স্কুলে পড়ে তারা অনেক কিছুই শিখতে পারছেন। জমিতে সঠিক মাত্রায় সার, সঠিক সময়ে জমিতে পানি রাখার গুরুত্ব, সঠিক পদ্ধতিতে বালাইনাশকের ব্যবহার, আইপিএম পদ্ধতিতে পোকা দমনসহ এ স্কুলে পড়ে তারা অনেক কিছুই শিখতে পারছেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, কৃষকদের স্মার্ট কৃষকে পরিণত করা। নিরাপদ উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা, ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি এবং জলবায়ু সহিষ্ণু প্রযুক্তি সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে পার্টনার ফিল্ড স্কুল চলমান রয়েছে।
নাঈম / জাফরান