ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

থার্ড টার্মিনালকে কেন্দ্র করে বিমানের ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৪ নভেম্বর ২০২৪; আপডেট: ১৪:২৪, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

থার্ড টার্মিনালকে কেন্দ্র করে বিমানের ব্যাপক প্রস্তুতি

থার্ড টার্মিনাল

বিশ্বে এমন অনেক বিমানবন্দর আছে যার এক একটি টার্মিনাল বাংলাদেশের একটি বিমানবন্দরের সমান। এসব বিমানবন্দরে রয়েছে সবধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা। যেখানে একজন যাত্রী সহজেই বিমানবন্দরের সব ধাপ অতিক্রম করে উড়োজাহাজে চড়তে পারেন। এশিয়াতেও এমন অনেক বিমানবন্দর রয়েছে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালে (টার্মিনাল-৩) থাকছে আধুনিক এসব সুযোগ-সুবিধা। 

বিমানের থার্ড টার্মিনালের প্রস্তুতি নিয়ে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, থার্ড টার্মিনালকে কেন্দ্র করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। জনবল নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি নতুন নতুন ইক্যুয়িপমেন্ট ক্রয় করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু ইক্যুয়িপমেন্ট বিমানের জিএসই বহরে যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও কয়েক মাসের মধ্যে পুশব্যাক টো ট্রাকটর, এয়ার স্টার্ট ইউনিট, কন্টেইনার প্যালেট ইউনিট, এম্বুলিফট, প্যাসেঞ্জার স্টেপ, বেল্ট লোডার, কন্টেইনার প্যালেট ট্রান্সপোর্টার, কন্টেইনার প্যালেট লোডার, ওয়াটার কার্ট, ফ্লাশ কার্টসহ এ ধরনের প্রায় ৭০টি ইক্যুয়িপমেন্ট বিমানের জিএসই বহরে যুক্ত হবে। এছাড়াও এয়ারপোর্ট সার্ভিস, জিএসই সহ বিভিন্ন শাখায় দক্ষ জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। 


গতবছর ২০২৩ সালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে শিডিউল ফ্লাইট পরিচালনাকারী ৩৫টি বিদেশি এয়ারলাইন্স ও ১২ টি নন-শিডিউল বিদেশি এয়ারলাইন্সসহ ৫৭,৩৫০ টি ফ্লাইটের ৯২,০১,৯৪২ জন সম্মানিত যাত্রীকে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সার্ভিস প্রদান করেছে এবং ২ কোটি ৩০ লাখ ব্যাগেজ হ্যান্ডেল করেছে। বর্তমানে প্রথম ব্যাগেজ প্রাপ্তির গড় সময় ১৮.৬৬ মিনিট এবং শেষ ব্যাগেজ প্রাপ্তির গড় সময় ৪৮ মিনিট। গত জুন মাসে ব্যাগেজ ওটিপি ৯৬.৪২% এ উন্নীত হয় এবং সেপ্টেম্বর মাসের ব্যাগেজ ওটিপি ৯২.৮৭%। বর্তমানে বিমানের নিজস্ব ফ্লাইট ওটিপি ৮২.৭০%। বিমানের ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সার্ভিসে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা বৃদ্ধিকল্পে সংশ্লিষ্ট বিমানকর্মীদের দেহে বডি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও ম্যানেজমেন্ট এর কঠিন পদক্ষেপ এর কারণে সেবার মানে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। সেবার ক্ষেত্রে সম্মানিত যাত্রীদের অভিযোগকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয় এবং প্রযুক্তির সহায়তায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।         

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একশ্রেণির তথাকথিত বিশেষজ্ঞ মহল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে। কোনরূপ তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন ব্যতিরেকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান তথা দেশ বিরোধী চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং খাত থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আয় করে থাকে। বাইরের প্রতিষ্ঠানকে এ দায়িত্ব দিলে দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাবে এবং দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তথাপি দেশের স্বার্থ বিরোধী কিছু কুচক্রী মহল বিভিন্ন মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সম্মানিত যাত্রী ও স্টেকহোল্ডারগণকে উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট রয়েছে।    

ইসরাত

×