খিলগাঁও তালতলা কিচেন মার্কেটে ক্লিনআপ ও সচেতনতা অভিযান
বুধবার ঢাকার খিলগাঁও তালতলা কিচেন মার্কেটে পরিবেশ অধিদপ্তরের (উড়ঊ) উদ্যোগে এবং জাতিসংঘ শিল্প উন্নয়ন সংস্থা (ইউনিডো)-এর কারিগরি সহায়তা ও ঢাকার নরওয়েজিয়ান দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় ক্লিনআপ অভিযান পরিচালিত হয়।
এই অভিযানে পস্নাস্টিক ব্যাগের বিকল্প সরবরাহ, বর্জ্য ফেলার জন্য বিন স্থাপন এবং বাজারে পস্নাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য স্থায়ী নোটিশ বোর্ড স্থাপন করা হয়। বিডি ক্লিন এবং গারবেজম্যান পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে বাজার এলাকা থেকে পস্নাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করতে সহায়তা করে।
এই ইভেন্টের মূল লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণ ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মধ্যে একক ব্যবহারযোগ্য পস্নাস্টিকের (ঝটচ) ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং টেকসই বিকল্প ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা।
অনুষ্ঠানে উলেস্নখযোগ্য বক্তাদের মধ্যে ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ, ইউনিডো-এর ন্যাশনাল এক্সপার্ট এস এম আরাফাত, কিচেন মার্কেট কমিটির সভাপতি এবং বিডি ক্লিন ও স্থানীয় কমিউনিটির প্রতিনিধিরা।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ এই উদ্যোগকে সমর্থন জানিয়ে বলেন, “একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দূষণ ও মাইক্রোপ্লাস্টিকের সৃষ্টি করে যা পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। বাংলাদেশের প্লাস্টিক বর্জ্য কমাতে এই উদ্যোগ আমাদের দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টার একটি ধাপ মাত্র। টেকসই প্রথা ও সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে আমরা একটি স্বাস্থ্যকর ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারি।”
ইউনিডো-এর ন্যাশনাল এক্সপার্ট এস এম আরাফাত একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক কমানোর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “প্লাস্টিক বর্জ্য নিরসনে আমাদের ‘হ্রাস, পুনঃব্যবহার, পুনঃচক্রায়ণ’ মডেলের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের ব্যবহার সীমিত করে পুনঃব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র বেছে নেওয়ার মাধ্যমে আমরা বর্জ্য হ্রাস করতে পারি এবং রিসাইক্লাররা সঠিকভাবে সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের সুযোগ পেতে পারে। এটি একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা যা দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে শুরু হয়।”
কর্মসূচিটি বাংলাদেশে টেকসই প্লাস্টিক ব্যবহার ও সামুদ্রিক আবর্জনা প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগ প্রকল্পের অংশ, যা বিশেষভাবে কম্পোনেন্ট ২ এর অধীনে ভোক্তাদের সচেতনতা ও কমিউনিটি অ্যাকশনে জোর দেয়। বিদ্যালয়, কিচেন মার্কেট এবং মৎস্য সম্প্রদায়ের মধ্যে পূর্ববর্তী ১৪টি ক্লিনআপ অভিযানের সাফল্যের ভিত্তিতে এই ইভেন্টটি স্থানীয় অংশীদারদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি টেকসই প্রথা তৈরির লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
ইসরাত