ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেনে বক্তারা
দেশের নদী ও জলাশয় রক্ষার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় উপস্থিত পরিবেশকর্মী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা বলেন, দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য তরুণদের উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুরসম্রাট আলাউদ্দিন মিউজিক হলে ‘নদী ও জলাশয় সুরক্ষা: প্রত্যাশা এবং সুপারিশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ইউএসএআইডি’র অর্থায়নে ও ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের আয়োজনে ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেনের আওতায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের (এমএএফ) সভাপতি এবিএম মোমিনুল হক বলেন, ‘এই অঞ্চলে শব্দদূষণ, স্বাস্থ্যসেবার মান, বাল্যবিয়ে এবং মাদক সমস্যা গুরুতর হয়ে উঠছে। সর্বস্তরের মানুষকে এসব সমস্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত হতে হবে। নতুন প্রজন্মকে কাজ করার অনুপ্রেরণা দিতে হবে।’
নদী রক্ষার জন্য নাব্য বজায় রাখার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে জানিয়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) নির্বাহী প্রকৌশলী রনি সাহা বলেন, ‘বর্তমানে খাল খনন প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও সেখানে নানা রকম প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। নদী ও জলাশয় রক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা জরুরি।’ এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খালিদ ইবনে সাদিক বলেন, গৃহস্থালী বর্জ্যরে কারণে নদীর স্বাভাবিক অবস্থা দূষিত হচ্ছে।
নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র রিজিওনাল ম্যানেজার আবুল বাশার ‘আমিও জিততে চাই’ ক্যাম্পেনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন কারেন্ট জাল এবং চায়না জালের কারণে নদীর বাস্তুসংস্থান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন।