চলাচলের পথ বন্ধ করে প্রভাবশালী জাহাঙ্গির হাওলাদার খোলা পায়খানা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । ভুক্তভোগী লতিফ হাওলাদার এমন অভিযোগ করেছেন। এতে চার পরিবারের চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
গত দুই বছর অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন ওই পরিবারগুলো। দ্রুত চলাচলের পথ থেকে খোলা পায়খানা ও মুরগীর খড় অপসারণ করে পথ খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন অবরুদ্ধ পরিবারগুলো। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার উত্তর সোনাখালী গ্রামে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার উত্তর সোনখালী গ্রামের প্রভাবশালী জাহাঙ্গির হাওলাদার প্রতিবেশী লতিফ হাওলাদার, খালেক হাওলাদার, হানিফ হাওলাদার ও চাঁন মিয়া হাওলাদারের চলাচলের পথ বন্ধ করে দিয়ে খোলা পায়খানা নির্মাণ করেছে। ওই পায়খানা দিয়ে বর্জ্য নির্গত হয়ে এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। চলাচলের পথে পায়খানা নির্মাণ করায় ওই চার পরিবারের চলাচল গত দুই বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। চলাচলের পথ বন্ধ থাকায় তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় আছেন। এতে ভোগান্তিতে আছেন ওই চার পরিবার। বাধ্য হয়ে গত দুই বছর তারা ধান খেত দিয়ে চলাচল করছে।
এতে তারা সামাজিক ভাবে বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠকে বসলেও প্রভাবশালী জাহাঙ্গির হাওলাদার বৈঠকের সিধান্ত মানছেন না বলে অভিযোগ করে লতিফ হাওলাদার। দ্রুত তারা চলাচলের পথ থেকে খোলা পায়খানা ও মুরগীর খড় সরিয়ে চলাচলের পথ খুলে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
বুধবার সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, লতিফ হাওলাদার, খালেক হাওলাদার, হানিফ হাওলাদার ও চাঁন মিয়া হাওলাদার একই বাড়ীতে বসবাস করে। তাদের বাড়ী সামনে জাহাঙ্গির হাওলাদার বসবাস করছেন। জাহাঙ্গির হাওলাদারের সামনে সরকারী আঁধা পাকা রাস্তা। ওই আঁধা পাকা রাস্তায় ওঠতে হলে চার পরিবারকে জাহাঙ্গির হাওলাদারের বাড়ীর পাশের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হয়। গত দুই বছর আগে জাহাঙ্গির হাওলাদার জোরপুর্বক ওই চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
পরে ওই পথে জাহাঙ্গির খোলা পায়খানা দিয়ে রেখেছে যাতে ওই চার পরিবার চলাচল করতে না পারে। এছাড়াও পথের মধ্যখানে বেড়া দিয়ে মুরগীর খড় নির্মাণ করেছেন।
প্রতিবেশী লতিফ হাওলাদার ও হানিফ হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, প্রভাবশালী জাহাঙ্গির হাওলাদার জোরপুর্বক আমাদের চলাচলের পথ বন্ধ করে খোলা পায়খানা নির্মাণ করে রেখেছেন। এতে আমাদের চারটি পরিবারের বেশ সমস্যা হচ্ছে। আমাদের স্ত্রী, সন্তান নিয়ে ধান খেত দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, চলাচলের পথ বন্ধ করেই জাহাঙ্গির খ্যান্ত হয়নি পথে মুরগির খড় নির্মাণ করে আটকে রেখেছেন। দ্রুত এ চলাচলের পথ থেকে খোলা পায়খানা ও মুরগীর খড় সরিয়ে চলাচলের পথ উন্মুক্ত করে দেয়ার দাবী জানিয়েছেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, জাহাঙ্গির হাওলাদার জোরপুর্বক চলাচলের পথ বন্ধ করে খোলা পায়খানা নির্মাণ করেছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক হলেও তিনি বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেন না।
প্রভাবশালী জাহাঙ্গির হাওলাদার বলেন, আমার বাড়ীর পাশ দিয়ে কোন চলাচলের পথ নেই। আমি আমার জমিতে পায়খানা ও মুরগীর খড় নির্মাণ করেছি। পায়খানা থেকে বর্জ্য নির্গত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নিজাম পঞ্চায়েত বলেন, ওই পরিবারগুলোর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। বেশ কয়েকবার শালিস বৈঠক করেছি।
আঠারোগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম রিপন হাওলাদার বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। খোজ খবর নিয়ে দ্রুত পথ খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, বিষয়টি আমি জানিনা। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।