দেশের অন্যতম বৃহৎ আলু উৎপাদনের জেলা মুন্সীগঞ্জে আলু চাষ শুরু হয়েছে। চলতি বছর বাজারে আলুর উচ্চ মূল্য থাকায় আলু চাষ করে আরো লাভবান হওয়ার আশায় গত বছরের তুলনায় এবার অধিক পরিমাণে আলু চাষে ঝুকেছে কৃষক।
বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর নভেম্বরের শুরু থেকেই জমি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষে কৃষকরা এখন আলু আবাদে নেমে পড়েছেন। এখন আলু চাষে যুক্ত হতে বিভিন্ন জেলা থেকে আগত পুরুষ ও নারী শ্রমিকের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রামাঞ্চলে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে জেলার প্রায় ৭৩ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ সম্পন্ন হয়েছে। এ বছর জেলায় ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ৩৪ হাজার ৩৪৬ হেক্টর জমি। এ বছর আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৫ টন।
যা গত বছর ছিল ১০ লাখ ৩৬ হাজার ২৫০ টন। হিসেব মতে চলতি বছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমির জন্য ৬৯ হাজার ৩১০ টন আলুর বীজ প্রয়োজন। বর্তমানে জেলার হিমাগারগুলোতে বীজ আলু মজুদ রয়েছে প্রায় ৬৪ হাজার ৫১৬ টন।
তবে বীজ আলুর সংকটের আশঙ্কায় কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা দিয়েছে। বীজ সংকট হবে শঙ্কায় শেষ পর্যন্ত আলু চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। বীজের দাম বাড়ায় উৎপাদন কম হওয়ার আশংকা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আলু রোপণ করে লাভের আশায় নতুন স্বপ্ন বুনছে কৃষকরা। আলুর বা¤পার ফলন করেই লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। সদর উপজেলার চরকেওয়ার, আধারা, শিলই, মহাকালিসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও বিভিন্ন উপজেলা জুড়ে আলু রোপণ কাজে কৃষকের ব্যস্ততার দৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে। বাড়ির আঙিনায় কৃষকদের সহযোগিতায় বাড়ির গৃহিণীরাও নানা কাজে যুক্ত হয়েছেন।
সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ইউনিয়নের টরকী গ্রামের আলু চাষী মোঃ নূর বলেন, “এ বছর ৪০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করছি। কৃষক থেকে সহযোগিতা নামের বীজ আলু এক বস্তা কিনেছি ৩ হাজার টাকা দরে। বীজের দাম অনেক বেশি। সার সংকট না থাকলেও দাম বেশি মনে হচ্ছে। আগে ভাগেই আলু রোপণ শুরু করেছি।
মুন্সীগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, “এ মৌসুমে জেলায় প্রায় ৩৪ হাজার ৬৫৫ হেক্টর জমিতে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উল্লেখিত জমিতে আলু রোপণ হলে ১০ লাখ ৪৫ হাজার ১৯৫ টন আলু উৎপাদিত হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।