সেতুর দাবিতে মানববন্ধন স্বারক লিপিসহ বার বার বিভিন্ন ভাবে আবেদন জানালেও মিলছেনা একটি সেতু। এতে করে চরম দুর্ভোগে রয়েছে ঐ সকল চরাঞ্চলের কয়েক লক্ষাধীক মানুষ।সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার আওনা ইউনিয়নের কুলপাল খেয়া ঘাট।যে খেয়াঘাট দিয়ে নৌকা যোগে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হয়।নদীর পশ্চিমের একটি মাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয় থাকলেও নেই অন্যান্ন কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
যার ফলে প্রতিদিন শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থী জীবনের ঝুকি নিয়ে খেয়া পারাপার হয়ে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসে।
এ ছাড়াও সিমান্তবর্তী সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার হাজারো মানুষ দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজে হসপিটালে, বাজার, ব্যাংক - বীমা এবংকি রাজধানী ঢাকাসহ যে কোন জেলা শহরে যাতায়াতের জন্য এ খেয়াঘাট পারি দিতে হয়। বর্ষায় ভরা নদীতে ঝুকি নিয়ে পারহলেও বেশি দুর্ভোগে পড়তে হয় শুকনো মৌসমে।
শুকনো মৌসমে না পানি না শুকনো, না চলে নৌকা না চলা যায় কোন পরিবহন বা পায়ে হেটে।
এমন অবস্থায় অনেকেই বিভিন্ন সময় নিজ অর্থায়নে সেচ্ছা শ্রমে কাঠের সেতু তৈরি হলে কোন রকমে পার হওয়া যায়। তবে আনায়ন করা যায় না কোন ফসল।
বর্তমানে নদীর বুকে জেগে উঠা হাজার হাজার একর জমিতে চাষ হয় ভুট্টা। সেই সকল ভুট্টা সঠিক সময়ে পরিবহন না করতে পেরে কৃষক ন্যায্য মুল্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে বলেও জানান অনেকেই।শুধু ভুট্টাই নয় সেখানে চাষ হচ্ছে কলা, পেয়ারা, বড়ই, তিল- তিষি, মুসুরি খেসারিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল। যা সঠিক সময়ে পরিবহন করে না আনতে পেরে অনেক সময় মাঠের ফসল মাঠেই নষ্ট হয়। এখানে ব্রিজ নির্মান গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় স্থানীয়রা দীর্ঘদিন সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও আজও নির্মাণ হয়নি জগনাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় যমুনা নদীর প্রস্থ্যধারার সুবর্নখালীর প্রবাহ মুখ কুলপাল খেয়াঘাটের এই সেতুটি। ফলে নদীর পশ্চিম পাড়ের লোকজনের যাতায়াত ও পন্য পরিবহনের জন্য পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ। এই চরম দুর্ভোগ হতে মুক্তি পেতে চায় এলাকাবাসি।
স্থানীয় সাজা মিয়া বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বহু সরকার এলো গেলো কিন্তু কোনো সরকারই আমাদের একটা ব্রীজ নির্মাণ করে দিলো না। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসেও প্রতিদিনই আমাদের এই খেয়া পারাপারের জন্য দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হয়। কেউ অসুস্থ্য হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায় না। তাছাড়াও রাতের বেলায় পড়তে হয় বড় বিপদে, অনেক সময় ঘটে যায় বড় ধরনের দূর্ঘটনা।
বিভিন্ন নির্বাচনের আগে জনপ্রতিনিধিরা এসে ভোট চেয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই।
এই সময় কৃষক আনিছুর রহমান বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা ফসল আবাদ করি কিন্তু পারাপারের অভাবে সঠিক সময়ে ফসলাদী শহরের হাট-বাজারে বিক্রি করতে পারি না। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন ইতিমধ্যে ঢাকা থেকে প্রতিনিধি দল ব্রিজের জায়গাটি পরিদর্শন করে গেছেন। অতি দ্রুত ব্রিজটি নির্মাণ করা হবে বলে তিনি জানান।