অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিকের উপস্থিতি মানুষ এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। ২০২৩ সাল থেকে ডিডিটিমুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃত বাংলাদেশ। বিষাক্ত বালাইনাশকের পরিবর্তে কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
বুধবার চট্টগ্রাম নগরীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল ও জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত একটি সভায় কথাগুলো বলেন বক্তারা। বালাইনাশকের ক্ষতিকর ব্যবহারকে না বলুন, নিজের স্বাস্থ্য, পরিবার ও শস্যকে রক্ষা করুন - এই লক্ষ্যে বাংলাদেশে কৃষিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক বালাইনাশকের ঝুঁকি প্রশমন বিষয়ক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয় নগরীতে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন। ডিএই চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপ পরিচালক মো. আতিক উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় এফএও’র ফসল উৎপাদন বিশেষজ্ঞ ড. দেলোয়ার আহমেদ চৌধুরীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় চট্টগ্রাম অঞ্চলের ৫ জেলা ও ৪৬ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বালাইনাশক ডিলার ও বিভিন্ন উপজেলায় কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, রাসায়নিক বালাইনাশক মানুষের মুখ, ত্বক, শ্বাস প্রশ্বাস, খাদ্য এবং পানি, নাক, চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। এটি মানুষ ও প্রাণীকূলের তীব্র ও দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুর কারনও হতে পারে।
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, পৃথিবীর প্রায় অনেক দেশে রাসায়নিক বালাইনাশকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অতিরিক্ত মাত্রায় রাসায়নিকের উপস্থিতি মানুষ এবং পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। কারণ এসব কীটনাশক পচনশীল নয় এবং নিঃশেষ হয়ে যায় না। অতিরিক্ত ব্যবহারজনিত রাসায়নিক বালাইনাশকের অবশিষ্টাংশ বিভিন্ন সবজি ও ফসলে উপস্থিত থাকায় মানব স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি বাড়ছে। বাংলাদেশ জানুয়ারি ২০২৩ সাল থেকে ডিডিটি মুক্ত দেশ হিসেবে স্বীকৃত। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ৫২৩টন বিপজ্জনক কীটনাশক ডিডিটি সংরক্ষিত ছিল। এফএওর সহযোগিতায় ফ্রান্সের কারিগরি টিমের সাহায্যে এই ডিডিটি ফ্রান্সে স্থানান্তর করা হয়েছে। সভায় বাংলাদেশের সকল বালাইনাশক ডিলারদের একই নেটওয়ার্কে আওতায় অন্তর্ভুক্ত করে বালাইনাশক মজুদ ও বিপননে কীভাবে তাদের দক্ষতা বাড়ানো যায় সে বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণে বালাইনাশকের বিকল্প বের করতে হবে
শীর্ষ সংবাদ: