১৩ নভেম্বর-উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। দৃষ্টিনন্দন শহীদ মিনারটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত মানুষের নজরে আসে। সম্প্রতি নির্মাণ হওয়া শহীদ মিনারটি দেখতে প্রতিদিন আশপাশের এলাকা ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে শত শত মানুষ আসছেন উপজেলা পরিষদ চত্বরে। এর মধ্যে বেশির ভাগ দর্শনার্থীকে ছবি ও সেলফি তুলতে দেখা যায়। অনেককে নিজের মোবাইলে শহীদ মিনারটির ছবি রাখতে দেখা গেছে।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ চত্বরের দক্ষিণ-পূর্ব কোণায় পশ্চিম মুখী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শহীদ মিনারটি। পৃথক তিনটি স্তম্ভের মধ্যে একেবারে উঁচু স্তম্ভটিতে গাঢ় সবুজ রং করা হয়েছে। বাকি দুটির মধ্যে একটি সাদা, অন্যটিতে লাল রং ব্যবহার করা হয়েছে, ফলে আসল সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।
শহীদ মিনারটি দেখতে আসা আখতারুজ্জামান নুর নামে ¯’ানীয় এক বাসিন্দার সঙ্গে কথা হলে তিনি জনকন্ঠকে
বলেন, একজন প্রফেশনাল আর্টিস্ট হিসেবে বলতে চাই, শহীদ মিনারটির নকশায় যথেষ্ট শৈল্পিক নিপুণতা ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে শহীদ মিনারটি এ জায়গায় নির্মিত হওয়ায় উপজেলা পরিষদের সৌন্দর্যও অনেক গুণ বেড়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, একটা স্বপ্ন ছিল উপজেলা চত্বরে মনের মতো করে একটি শহীদ মিনার ¯’াপন করা। এটি বাস্তবায়ন করতে পেরে খুব ভালো লাগছে। জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ডিসি বৃহস্পতিবার সকালে
শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করবেন। এটি এ উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে বিবেচিত হবে। তিনি আরো বলেন, এ রকম নকশায় শহীদ মিনার দেশের মধ্যে ফটিকছড়িতেই প্রথম।
উল্লেখ্য, ২৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে দরপত্রের মাধ্যমে শহীদ মিনারটি বাস্তবায়ন করে উপজলা এলজিইডি বিভাগ।