ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১

ভুয়া জন্ম সনদ ও জাল সার্টিফিকেটে চাকরি ৯ বছর ধরে নিচ্ছেন সরকারি বেতন

নিজস্ব সংবাদদাতা বাকেরগঞ্জ বরিশাল

প্রকাশিত: ১৬:৪৬, ১৩ নভেম্বর ২০২৪

ভুয়া জন্ম সনদ ও জাল সার্টিফিকেটে চাকরি ৯ বছর ধরে নিচ্ছেন সরকারি বেতন

বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের শ্যামপুর মাছউদপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী (পিয়ন) শামীম হাওলাদার ভুয়া জন্ম সনদ বানিয়ে ও অষ্টম শ্রেণির ভুয়া সনদ বানিয়ে ৯ বছর ধরে মাদ্রাসায় চাকরি করে আসছেন ও নিয়মিত বেতন উত্তোলন করছেন। পিয়ন শামীম হাওলাদার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের ছেলে।

এ বিষয়ে শ্যামপুর গ্রামের মোঃ কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা ও জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মো: সাগর জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য গোপন করে জন্ম নিবন্ধনে মোঃ শামীম হাওলাদার ও বয়স দুই বছর কমিয়ে দিয়ে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী পদে ২০১৬ সালে যোগদান করেন শ্যামপুর মাছউদপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসায়। তিনি বর্তমানে শ্যামপুর মাসউদপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পিয়ন শামীম হাওলাদারের ইনডেক্স নং- ২১১৯৯১৭। তার নিয়োগকালীন সময়ের জন্ম সনদে বয়স ২৫/১২/১৯৯১ সাল। কিন্তু তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম মো: সাগর জন্ম তারিখ ০১/০১/১৯৮৮ সাল। এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা সেখানে পঞ্চম শ্রেণি। জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর - ৬৮৯৬৩৬৮৫২৬। শ্যামপুর মাছউদপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার থেকে অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট জাল বানিয়ে নিয়োগের সাথে সংযুক্ত করেছেন। মূলত মোঃ সাগর জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকলেও , তার পরিবর্তে জন্মনিবন্ধনের শামীমের হাওলাদার নাম ব্যবহার করে প্রতারণার মধ্যদিয়ে চাকরি করছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি শামীম হাওলাদারের কাছে জানতে চেয়ে তার মাদ্রাসায় গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পালিয়ে যায়।

তদন্তের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার দাস জানান, মাছউদপুর কাদেরিয়া দাখিল মাদ্রাসার একজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার জন্ম সনদ ও জাতীয় পরিচয় পত্রে কোন মিল নেই। এবং নিয়োগকালীন সময় বৈধ প্রার্থী বাছাই ও তার জাতীয় পরিচয় পত্র যথাযথভাবে যাচাই করা হয়নি। অভিযোগের ভিত্তিতে  তদন্ত করে প্রতিবেদনটি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হযয়েছে। তার বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

×